পায়ের লিগামেন্ট ছিড়ে যাওয়ায় হাটতে পারছেননা নোবিপ্রবি শিক্ষার্থী খাদেমুল

0
636

ছাফওয়ান নাঈম নোবিপ্রবি প্রতিনিধি:
আপনার মন খারাপ! কিছুই ভাল লাগেনা! পড়তে ইচ্ছে করতেছেনা! মেজাঝ খিটখিটে হয়ে আছে! কি করা যায়! একটু বিনোদনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। হয়তো কিছুটা ভাল লাগতেও পারে। মন ভাল করার জন্য বলেন আর অবসর সময় কাটানোর জন্য বলেন একটু বিনোদন সবাই করতে চায়। আর এই বিনোদনের অন্যতম একটি মাধ্যম হিসেবে বিভিন্ন ধরণের খেলাকে সমাজ বা রাষ্ট্রের মানুষ বিবেচনা করে থাকে।

এই বিনোদোনের ব্যবস্থার জন্যই নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজন করা হয় আন্তঃবিভাগ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। ক্রিকেট প্রেমিদের কাছে অন্যতম সেরা বিনোদনের নাম ক্রিকেট। খেলার তালে তালে সবাই হাতে তালি দেয় আর উপভোগ করতে থাকে অনন্দগন মুহুর্ত আর ক্রিকেটিয় স্বাদ।

আর ক্রিকেট নামের এই বিনোদনের স্বাদ গ্রহন করতে গিয়ে অনেক সময় স্বাদটি পরিণত হয় বিস্বাদে। সবাই যখন আনন্দে উল্লাসিত হতে থাকে তখন হয়তো আনন্দদাতাই হয়ে যায় বিস্বাদের কারণ। যে কিনা খেলা শেষে ট্রপি হাতে উল্লাস করবে, সেই হয়তো খেলা শেষে থাকতে হয় হাসপাতালের বিচানায়। হরহামেষায় এটি ঘটে। আর এমনটিই ঘটেছিল নোবিপ্রবি ফার্মেসী ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী খাদেমুলের ক্ষেত্রে।

টুর্নামেন্টের সবগুলা খেলা প্রায় শেষ। সেদিন ছিল ফাইনাল ম্যাচ। আন্ত:বিভাগ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচে দল কে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিলেন ঠিকই কিন্তু উল্লাস পর্বটি তার উল্লসিত হলো না, কারণ জয়ের নায়কের ইতোমধ্যে ডান পায়ের দুটি লিগামেন্ট ছিড়ে কেড়ে নেয় সবার উল্লাস কে!

গত ১০ই এপ্রিল,নোবিপ্রবি আন্ত:বিভাগ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচে উক্ত ঘটনাটি ঘটে।এরপর ঢাকা ‘ইবনে সিনা ডি ল্যাব এন্ড কনসালটেশন সেন্টার’ পরীক্ষা করানো হয়। গত ৩১ই মে ঐ রিপোর্ট টি প্রকাশিত হয়। এতে দেখা যায় তার দুটি লিগামেন্টই ছিড়ে যায়! ডাক্তার সিদ্ধান্ত দিলেন”অপারেশন করা লাগবে”।

এই বিষয়ে ফার্মাসি বিভাগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ঈদের পরপরই অপারেশন টি করা হবে।তার ভাল চিকিৎসার জন্য যা করা দরকার তা করছি এবং করবো। ইতোমধ্যে আমি শুনেছি অপারেশনের জন্য নব্বই হাজার থেকে এক লক্ষ টাকা লাগতে পারে।

তিনি আরো বলেন “আমরা আমাদের বিভাগ থেকে উক্ত টাকা ম্যানেজ করবো। প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে সহযোগীতা নেব।যদি দরকার হয় তাহলে বিদেশেও উচ্চ চিকিৎসার জন্য নেওয়া হবে, তবে সেটা আলোচনা সাপেক্ষে”।

শিক্ষার্থী খাদিমুল চিকিৎসার ব্যাপারে বলেন, “আমার বাবা-মা ও শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করে যদি বাংলাদেশে চিকিৎসা করা যায় তাহলে তো আর বিদেশে যাওয়া লাগবে না। শিক্ষকরা আমার চিকিৎসার ব্যাপারে অনেক সচেতন। তাই আমি শিক্ষকদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকবো”।
খবর৭১/জি:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here