ভেদরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার দুর্গম চর কাঁচিকাটা ইউনিয়নে ঝগড়া থামাতে গিয়ে প্রতিবেশীর ঢিলের আঘাতে এক দরিদ্র কৃষক নিহত হয়েছে। শনিবার সকাল ৮টায় কাঁচিকাটা ইউনিয়নের দক্ষিন মাথাভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা আলমগীর মৃধার স্ত্রী রিপনা বেগম (৩০) এর ছোঁড়া ঢিলের আঘাতে তার প্রতিবেশী মজিদ রাড়ী নিহত হয়েছে। নিহত মজিদ রাড়ী (৬০) একই গ্রামের বাসিন্দা মৃত অলি রাড়ীর ছেলে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত রিপনা বেগমকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দা বারেক মিয়া ও অন্যান্যদের সাথে আলাপ করে জানাগেছে, দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিন মাথাভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা আলমগীর মৃধা ও তার প্রতিবেশী দুদু মিয়া মৃধার পরিবারের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সংঘর্ষ চলেছিল। প্রায় এক সপ্তাহ আগে ছাগলে গাছ খাওয়াকে কেন্দ্র করে এই দুই পরিবারের লোকজনের মধ্যে আরো উত্তেজনা বেড়ে যায়। পরে শনিবার সকালে বিষয়টি নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে আলমগীর মৃধার স্ত্রী রিপনা বেগম ও দুদু মিয়া মৃধার স্ত্রী তাসলিমা বেগম। এ সময় তাদের প্রতিবেশী মজিদ রাড়ী তাদের থামাতে গেলে তাসলিমা বেগমকে লক্ষ্য করে একটি শক্ত মাটির ঢিল ছোঁড়ে রিপনা বেগম। কিন্তু ঐ ঢিল মজিদ রাড়ীর বুকে উপর গিয়ে পড়লে ঘটনা স্থলেই সে মারা যায়। পরে স্থানীয় লোকজন রিপনারে আটক করে সখিপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
নিহতের ছোট ছেলে নজরুল ইসলাম কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমার বাবা সহজ সরল লোক ছিল। যারা আমার বাবাকে মেরেছে আমি তাদের বিচার চাই।
তাসলিমা বেগম বলেন, মজিদ রাড়ীর কোন দোষ নাই। আমাগো ঝগড়া থামাতে আসার পর রিপনা তার বুকে ঢিলা মেরেছে।
এ বিষয়ে সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হক আকন্দ বলেন, ঘটনার পরপরই আমি ও আমাদের সহকারী পুলিশ সুপার খায়রুল হাসান স্যার ঘটনা স্থলে এসেছি। অভিযুক্ত রিপনা বেগমকে আটক করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা করা হবে।
খবর ৭১/ইঃ