খবর ৭১ঃ কক্সবাজারের রামুতে মাদক ব্যবসায়ীদের দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে নিহত আকতার কামাল সম্পর্কে বেয়াই নয় বলে দাবি করেছেন কক্সবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আবদুর রহমান বদি।
২৫ মে, শুক্রবার সন্ধ্যায় এমন দাবি করেন আবদুর রহমান বদি।
বদি বলেন, ‘নিহত আকতারের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমি তাকে চিনি না। তিনি আমার বেয়াই নন। শামসুন্নাহার আমার বড় বোন হলেও আমার বেয়াইয়ের নাম নুরু। আমার নিজের আত্মীয়ও যদি মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকে, তবে তাদের ক্রসফায়ারে দেওয়া হোক। সরকারের এই মাদকবিরোধী অভিযানকে আমি সাধুবাদ জানাই।’
এই সাংসদ আরও বলেন, ‘আমার কোনো আত্মীয় ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নয়। যদি কেউ মাদক ব্যবসায়ী প্রমাণিত হয়েও থাকেন, তবে তাদেরকেও ক্রসফায়ারের আওতায় আনার ব্যাপারে আমার কোনো দ্বিমত নেই। সরকারের এই মাদকবিরোধী অভিযানে আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে।’
এর আগে ২৫ মে, শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার মেরিন ড্রাইভ সড়কের হিমছড়ির ২ নং ব্রিজ এলাকা থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী আকতার কামালের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মরদেহ উদ্ধারের পর সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ার্যান নূর হোসেন জানিয়েছিলেন, আকতার কামাল টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও সরকার দলীয় সংসদ সদস্য (এমপি) আবদুর রহমান বদির বেয়াই।
রামু থানার হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলাম জানান, ইয়াবা ব্যবসায়ীদের দুই গ্রুপের মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। পরবর্তী সময়ে ঘটনাস্থল থেকে আকতার কামালের মরদেহসহ চার হাজার ইয়াবা, দেশীয় বন্দুক ও চার রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রণজিত কুমার বড়ুয়া জানান, নিহত আকতার কামাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে ইয়াবা পাচারের একাধিক মামলা রয়েছে।
সম্প্রতি মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করলে প্রায় প্রতি রাতেই বিভিন্ন জায়গায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। নিহত ব্যক্তিরা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।