শরীয়তপুর প্রতিনিধি:
শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার ডিএম খালী ইউনিয়নে অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ স্থানীয় চেয়ারম্যানের সার্বিক তদারকিতে ও প্রকল্প সভাপতিদের কর্মতৎপরতায় সফলতার সাথে দ্রুত এগিয়ে চলছে বলে জানা গেছে। ভেদরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কাজের পরিদর্শন করছে। আর ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও কাজের খোঁজখবর নিচ্ছে। এছাড়া প্রকল্পের কর্মরত শ্রমিকরা কাজ করে উপকৃত হচ্ছে বলে জানিয়েছে এবং স্থানীয়ও কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার ডিএমখালী ইউনিয়নে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ৩৩ শতাংশ মহিলাসহ শতভাগ অতি দরিদ্র শ্রমিক নিয়ে এই অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ ডিএম খালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও পদকপ্রাপ্ত সফল জনপ্রতিনিধি মাস্টার জসিম উদ্দিন মাদবরের সার্বিক তদারকিতে ও প্রকল্প সভাপতিদের কর্মতৎপরতায় ৩২২ জন শ্রমিক নিয়ে ৭টি প্রকল্পের কাজ সফলতার সাথে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। এদের মধ্যে ১নং ওয়ার্ডে একটি প্রকল্পে ৫৭ জন শ্রমিক নিয়ে কাজ করছেন, ইউপি সদস্য ও প্রকল্প সভাপতি হারুন অর রশিদ, ২নং ওয়ার্ডে একটি প্রকল্পে ৪৫ জন শ্রমিক নিয়ে কাজ করছেন, ইউপি সদস্য ও প্রকল্প সভাপতি মোবারক হোসেন বেপারী, ৩নং ওয়ার্ডে একটি প্রকল্পে ৪৮ জন শ্রমিক নিয়ে কাজ করছেন, মহিলা ইউপি সদস্য ও প্রকল্প সভাপতি ফারহানা বেগম, ৪ নং ওয়ার্ডে একটি প্রকল্পে ৪৫ জন শ্রমিক নিয়ে কাজ করছেন, মহিলা ইউপি সদস্য ও প্রকল্প সভাপতি সালেহা বেগম, ৪ নং ওয়ার্ডে আরেকটি প্রকল্পে ৪২ জন কাজ করছেন, ইউপি সদস্য ও প্রকল্প সভাপতি কবির হোসেন মোল্যা, ৬ নং ওয়ার্ডে একটি প্রকল্পে ৪০ জন শ্রমিক নিয়ে কাজ করছেন ইউপি সদস্য ও প্রকল্প সভাপতি জহরুল ইসলাম, ৭ নং ওয়ার্ডে একটি প্রকল্পে ৪৫ জন শ্রমিক নিয়ে কাজ করছেন ইউপি সদস্য ও প্রকল্প সভাপতি নাজমুল সরকার।
এ ব্যাপারে ডিএম খালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাস্টার জসিম উদ্দিন মাদবর বলেন, এই প্রকল্প অতি দরিদ্রদের জন্য তাই অতি দরিদ্র শ্রমিকদের দ্বারাই এই প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। আমার ইউনিয়নে ৭ টি প্রকল্পে ৩২২ জন শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। আমি নিয়মিত কাজের তদারকি করছি। ইতোমধ্যেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতার সহযোগিতায় প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে এবং আশা করি বাকী কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই শেষ হবে। এছাড়াও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) কাজের নিয়মিত খোঁজ নিচ্ছেন।
এ ব্যাপারে ডিএম খালী ইউনিয়নের প্রকল্পের কর্মরত কয়েক জন শ্রমিক বলেন, আমরা সরকারিভাবে চালুকৃত এই ৪০ দিনের কর্মসূচিতে কাজ করে খুবই উপকৃত হইছি। চেয়ারম্যান মাস্টার জসিম উদ্দিন মাদবর আমাদের কাজ নিয়মিত দেখাশুনা করেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় অনেকে বলেন, প্রতিবারের ন্যায় এবারও এই ইউনিয়নের কাজ সঠিক ও সুন্দর ভাবে চলছে। আমরা এই কাজে সন্তোষ প্রকাশ করছি।
