খবর ৭১: বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ডে থাকা রোহিঙ্গাদের ছেড়ে যাওয়ার জন্য মাইকিং করছে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী। শুক্রবার মধ্যরাত থেকে নোম্যান্স ল্যান্ড ছাড়ার জন্য বার বার মাইকিং করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ। এছাড়া সীমান্তে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর আনা-গোনা আবারও বেড়েছে বলে জানান এ জনপ্রতিনিধি।
নোম্যান্স ল্যান্ডে থাকা রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদ জানান, নোম্যান্স ল্যান্ড বার্মা (বর্তমান মিয়ানমার) সীমান্তের একটি অংশ। এখানে যারা বসবাস করছেন তারা অবৈধ বলে সকাল থেকে কয়েকবার মাইকিং করেছে মিয়ানমার।
তিনি আরও জানান, এখান থেকে সরে যাওয়ার জন্য আমাদেরকে আবারও হুমকি দিচ্ছে। এতে মনের মধ্যে ভয় কাজ করছে।
তবে গত এক সপ্তাহ থেকে নোম্যান্স ল্যান্ডে থাকা রোহিঙ্গাদের বসতবাড়ির উপর ঢিল ছোড়া কমেছে বলে জানিয়েছেন রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদ।
এদিকে গত জানুয়ারিতে দুই বছরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। কিন্তু সেই প্রক্রিয়া এখনও শুরুই করা যায়নি।
এছাড়াও গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীদের বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রথম ৮ হাজার রোহিঙ্গা নাগরিকের তালিকা মিয়ানমারকে হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, গত বছর ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনীর দমন অভিযান শুরুর পর সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা। তারা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু ও ঘুমধুম এবং কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আশ্রয় নেন। পরে নাইক্ষ্যংছড়িতে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের কুতুপালং ক্যাম্পে পাঠানো হয়। আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের জরুরি মানবিক সহায়তা দিয়ে আসছে বাংলাদেশ সরকার।