খবর ৭১ঃ প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে আগামীতে সব পাবলিক পরীক্ষায় যত্রতত্র পরীক্ষা কেন্দ্র অনুমোদন করবে না শিক্ষা বোর্ড। এক কেন্দ্র থেকে আরেক কেন্দ্রের দূরত্ব কোনোভাবেই ২৫ মিনিটের বেশি যেন না হয়- এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বোর্ডের পক্ষ থেকে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তপন কুমার সরকার আমাদের সময়কে এ তথ্য জানান।
তপন কুমার বলেন, ‘নতুন করে সব কেন্দ্র সচিবদের চিঠি দিয়েছি, এ বোর্ডের আওতাধীন সব জেএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের নতুন তালিকা পাঠানোর জন্য।’
শিক্ষা বোর্ডের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘বিগত সময়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঝুঁকিতে ছিল বেশ কিছু কেন্দ্র ও ভেন্যু। যার কারণে গত পরীক্ষার সময়ে যারা দায়িত্ব পালন করেছিলেন তাদের অনেকের অভিযোগ ছিল এসব কেন্দ্র ও ভেন্যুগুলো বাতিল করে দিতে।’
একটি কেন্দ্র বোর্ড অনুমোদন করে ওই কেন্দ্রের অধীন পাশাপাশি অথবা খানিকটা দূরে যে প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয় সেটিকে ভেন্যু হিসেবে চিহ্নিত করা হয় বলে জানিয়েছেন বোর্ডের এই কর্মকর্তা।
তপন কুমার বলেন, অনেক সময় দেখা গেছে এ ধরনের ভেন্যু মূল কেন্দ্র থেকে ৪০ মিনিটের বেশি সময় দূরত্বে থাকে। পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পরীক্ষার ২৫ মিনিট আগে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খোলা হয়। কেন্দ্র থেকে খোলা প্যাকেটে করে ভেন্যুতে প্রশ্ন নিয়ে যেতে হলে ফাঁসের ঝুঁকি থাকে।
বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী জেএসসি পরীক্ষা ২০০৮ ও এসএসসি পরীক্ষা ২০১৯ এর জন্য পরীক্ষায় যত্রতত্র কেন্দ্র অনুমোদন দেওয়া হবে না। সব কেন্দ্র সচিবদের কেন্দ্রের তথ্য প্রেরণের জন্য ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ২০ মে’র মধ্যে হালনাগাদ তথ্য প্রেরণের নির্দেশ বোর্ডের।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন বলেন, ‘কেন্দ্র থেকে ভেন্যুতে প্রশ্ন পৌঁছাতে দেরি হয়। প্রশ্নফাঁসসহ আরও বেশকিছু অভিযোগ আমাদের কাছে আছে। ভেন্যু প্রয়োজনে বাতিল করা হবে। কেন্দ্রের সংখ্যা কমানো হবে। কারণ, এখন প্রশ্নসেট লটারি মাধ্যমে ২৫ মিনিট আগে নির্ধারিত হয়। সেই প্রশ্ন ভেন্যুতে পৌঁছাতে দেরি হয়।’
খবর ৭১/ইঃ