ফেঞ্চুগঞ্জ:-সিলেটের প্রবাসী অধ্যুষিত উপজেলায়
ডাকাত আতংক বিরাজ করছে।
গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে প্রায় সাতটি দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়েছে।অস্ত্রধারী ডাকাতরা প্রবাসী পরিবারের কোটি টাকার মালামাল লুট করে নিয়েছে। ফেঞ্চুগঞ্জ
উপজেলার প্রবাসী পরিবারগুলো ডাকাতদের তার্গেটে পরিনত হওয়ায় উপজেলার বাসিন্দাদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। ডাকাতি প্রতিরোধ করতে রাতজেগে গ্রামে গ্রামে পাহারা দিচ্ছেন।
খবর নিয়ে জানা যায়,গত ৬,এপ্রিল রাত আনুমানিক ৩.০০টা মাইজগাঁও ইউনিয়নের অর্ন্তগত শরীফগঞ্জ গ্রামের ছদরুল ইসলাম লাভলুর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতরা অস্ত্রেরমুখে নগদ অর্থসহ ১৫ ভরি স্বর্ণা লংকার লুট করে নিয়ে যায়।
পাঁচ দিনের মাথায় অস্ত্রধারী ডাকাতরা উত্তর কুশিয়ারা ইউনিয়নের ইলাশপুর গ্রামের আতাউর রহমানের বাড়িতে হানা দেয় অস্ত্রধারী ডাকাতরা বাড়ি থেকে নগদ টাকা নয়ভরি স্বর্ণালংকার প্রবাসী কয়েস মিয়ার পাসপোর্ট ও টিকেট নিয়ে যায়।
গত ২০ এপ্রিল একই রাতে মাইজগাঁও ইউনিয়নের কর্মধা ও হাটুভাঙা গ্রামে দুটি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।কর্মধা গ্রামের শাকিল আহমদ ও হাটুভাঙা গ্রামের রসনু মিয়ার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
গত ৭ মে গভীর রাতে ঘিলাছড়া ইউনিয়নের আশিঘর গ্রামের আন্তই মিয়া ও নিজ ঘিলাছড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
১৫/২০/জনের অস্ত্রধারী ডাকাতদল পশ্চিম আশিঘর বড়খলা টিলাবাড়ির আন্তই মিয়ার বাড়িতে হানা দেয়। ডাকাতরা আন্তই মিয়ার বাড়ি থেকে সাত ভরি স্বর্ণালংকার,নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা ও দুটি মোবাইসেট নিয়ে যায়। একই রাতে পার্শ্ববর্তী নিজ ঘিলাছড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের বাড়িতে ও হানাদেয় অস্ত্রধারী ডাকাতরা। অস্ত্রেরমুখে বাড়ির নারী পুরুষদের জিম্মি করে পাঁচ ভরি স্বর্ণালংকার নগদ টাকা ও ৪টি মোবাইলফোন সেট লুট করে। উপজেলা জুড়ে গণহারে ডাকাতির ঘটনার উপজেলার বাসিন্দাদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। ডাকাতি প্রতিরোধে এলাকাবাসী রাতজেগে পাহারা শুরু করেছেন।
ইতি মদ্দে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে আইনশৃংখলা বাহিনীর পরামর্শ নিয়ে রাতজেগে পাহারা দিচ্ছেন। উত্তর কুশিয়ারা ইউনিয়নের ইলাশপুর গ্রামে,গিলাছড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে যুবকরা রাতজেগে গ্রাম পাহারা দিচ্ছেন। মাইজগাঁও ইউনিয়নের শরীফগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা রাও রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন।
ডাকাতিরোধ করতে আইন শংখলা বাহিনী কাজ করছে। ইতিমধ্যে সন্দেহভাজন একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা
খবর৭১/এস: