খবর ৭১: কোটা সংস্কারের দাবিতে গত রোববার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসায় আগুন দেওয়ার ঘটনায় মামলা করা হবে। ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তবে যারা নিরপরাধ, তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে তাঁর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঘটনার দিন ফেসবুকে একজন ছাত্র মারা গেছে এমন গুজব উঠেছিল। আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি, তিনি বেঁচে আছেন। তারপর ওই শিক্ষার্থী একটি ভিডিও প্রকাশ করেন যে তিনি জীবিত। যারা তাঁর মৃত্যুর গুজব রটিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে।
এ সময় সাংবাদিকেরা বলেন, গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারও ফেসবুকে এমন বিষয় তুলেছিলেন। তখন মন্ত্রী বলেন, ‘অনেকেই ছড়িয়েছেন, যারা ছড়িয়েছেন, সবার বিরুদ্ধে মামলা হবে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ভিসির বাড়িতে হামলার এ ঘটনাটা নিন্দনীয় ও জঘন্য। তাঁর পরিবারের লোকজন বাসা থেকে বের হয়ে বাগানে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাঁর সিসি ক্যামেরা, মনিটর ভাঙচুর করা হয়েছে। এসব বিষয়েও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারা জড়িত, তদন্তে গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। অনেক জিনিস ওই বাসা থেকে খোয়া গেছে। মুখোশ পরে আগে নারী ও পরে পুরুষেরা প্রবেশ করে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সব ইউনিটকে নির্দেশ দিয়েছি ভিসির বাড়িতে ঢোকার। তারা এসব তথ্য দিয়েছেন।’
কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী এ কাজে জড়িত আছে কি না, তা–ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘নীলক্ষেতের রাস্তা দিয়ে অনেক সন্ত্রাসী ঢুকেছে। আমাদের জানামতে হাজার খানেক মানুষ ওখান দিয়ে ঢুকেছে। এর সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক দলের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে, তা না হলে ছাত্ররা মুখোশ পরেছে কেন?’
ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা নাশকতার সঙ্গে জড়িত নয় জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘আমি খোঁজখবর নিয়ে জানতে পেরেছি, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা নাশকতার সঙ্গে জড়িত নয়। ফেসবুকে ছাত্রলীগের নামে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।’