শরীয়তপুর (ভেদরগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার বিমান বিধ্বস্তে নিহত বৈশাখী টেলিভিশনের সাংবাদিক ফয়সাল আহমেদের লাশ কবর থেকে উত্তলনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
নিহত আরেক যাত্রী নাজিয়া আফরিন চৌধুরির লাশের সঙ্গে ভুলক্রমে ফয়সালের লাশ বদল করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে ফয়সালের ভাই সাইফুল ইসলামের এরকম এক আবেদনের প্রেক্ষিতে লাশ তোলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বুধবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম শেখ হাফিজুর রহমান এ নির্দেশ দেন।আদেশে বিচারক বলেন, আদালতে একটি হলফনামা জমা দেয়া হয়েছে।সেখানে দাবি করা হয়েছে, ফয়সালের লাশ হিসেবে তার পরিবারকে যে লাশ দেওয়া হয় তা ফয়সালের নয়। ওই লাশ একই দুর্ঘটনায় আরেক নিহত নাজিয়া আফরিন চৌধুরীর লাশ। ফয়সালের পরিবার নজিয়ার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি নিশ্চিত হন।
সাংবাদিক ফয়সাল আহমেদ এবং নাজিয়া আফরিন চৌধুরি।
উভয়ের পরিবার জানায়, ভুলক্রমে ফয়সালের লাশ দাফন করা হয়েছে বনানী কবরস্থানে। আর নাজিয়ার লাশ দাফন করা হয় শরিয়তপুরের ডামুড্যা গ্রামে। উভয় পরিবারই ওই দুজনের লাশ তুলে পরস্পরের কাছে হস্তান্তর ও যার যার কবরস্থানে নতুন করে কবর দেওয়ার আবেদন করেছেন।
আদেশে আরও বলা হয়েছে, ফয়সালের লাশ বনানী কবরস্থান থেকে তুলে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার জন্য ঢাকা জেলার নির্বাহী হাকিমকে বলা হলো। আদালতে হলফনামা জমা দিয়েছেন নিহত ফয়সালের ভাই সাইফুল ইসলাম ও নাজিয়ার ভাই আলী আহাদ চৌধুরী।
আর আদালতে ওই বিবিধ মামলা করেন নিহত ফয়সালের ভাই সাইফুল ইসলাম। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই আদালত ফয়সালের লাশটি উত্তোলন করার আদেশ দিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ নেপালে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় নিহত হন ২৬ বাংলাদেশি। এর কয়েকদিন পর ২০ মার্চ তাদের লাশ নিয়ে আসা হয় বাংলাদেশে। ফয়সালের ভাই তার আবেদনে বলেন, ২০ মার্চ তার ভাইয়ের লাশ গ্রহণ করেন তার মামা কায়কোবাদ।
শরীয়তপুরে ডামুড্যা গ্রামে নেওয়ার পর জানাজা শেষে যখন কবর দেওয়ার জন্য কফিন থেকে লাশ বের করা হয় তখন দেখেন, এটি তার ভাইয়ের লাশ নয়। লাশটি পলিথিনে মোড়ানো ছিল। সেখানে লেখা ছিল নাজিয়া আফরিন চৌধুরী। কিন্তু পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসীর মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির আশঙ্কায় নাজিয়ার লাশ সেদিন সেখানেই দাফন করা হয়।
এদিকে নাজিয়া আফরিন চৌধুরির লাশ মনে করে ঢাকার বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয় সাংবাদিক ফয়সালের লাশ।