ঈশ্বরগঞ্জে তিন ভূয়া সাংবাদিক গ্রেফতার

0
964

ফারুক ইফতেখার সুমন ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের ঈশ^রগঞ্জে সাংবাদিক পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা করেছে পুলিশ। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে এক যুবককে চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতানোর অভিযোগে সোমবার রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।  দূপুরে গ্রেফতারকৃতদের ময়মনসিংহ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার দত্তপাড়া এলাকার ফজলুল হকের ছেলে শাহীন মিয়া। গত কিছুদিন আগে গাজীপুরের শ্রীপুরের জৈনাবাজার এলাকায় চাকুরির খোঁজে যান শাহীন। সেখানে পরিচয় হয় মোস্তফা কামাল নামে এক ব্যক্তির। তিনি কিশোরগঞ্জের কটিয়াদির চরআলগী গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে। চাকুরির খোঁজে যাওয়া শাহীনের সাথে পরিচয় হওয়ার সুবাদে মোস্তফা, মোতালেব মুসুল্লী, আলমগীর হোসেন ও আবদুল্লাহ ফকির নামে কয়েকজনের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। তাদের বাড়িও শ্রীপুরের বিভিন্ন এলাকায়। সবাই নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দেয়। ওই অবস্থায় ভালো বেতনে সাংবাদিকতার চাকুরি দেওয়ার নামে শাহীনের কাছে ৭০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। গত প্রায় একমাস ধরে তাদের সাথে ঘোরাঘুরি করার পর বিভিন্ন খরচের অযুহাত দেখিয়ে ৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। কিন্তু চাকুরির ব্যবস্থা না হওয়ায় চাপ দিলে আরো ১০ হাজার টাকা ম্যানেজ করতে বলা হয়। কিন্তু সাথে টাকা না থাকায় গত সোমবার তাদের সাবাইকে ঈশ্বরগঞ্জ এলাকায় নিয়ে আসা হয়। একটি প্রাইভেট কার যোগে আসার পথে মোস্তফা কামাল ও অন্যদের কথা বার্তায় সন্দেহ হয়। আসলেই সাংবাদিক কি না বিষয়টি জানতে চাইলে অসংগতি পূণ্য কথা বার্তা বলায় শাহীন বুঝতে পারেন তিনি প্রতারণার স্বীকার হচ্ছেন। এর মধ্যে চক্রটি মাইজবাগের মাহবুব ব্রিকস এবং রুপালী বিকস ঘুরে শাহীনকে বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসতে বলে। ওই অবস্থায় সে ঈশ^রগঞ্জে এসে কয়েকজনকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা প্রতারক বলে বুঝতে পারেন। ওই অবস্থায় সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া ব্যক্তিদের ঈশ^রগঞ্জে এনে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এ সময় আবদুল্লাহ ফকির নামে একজন পালিয়ে যায়।
এদিকে পুলিশ চক্রটির কাছ থেকে একটি প্রাইভেটকার, ক্যামেরা, মোবাইল ফোন, একটি অনলাইন টিভির কিছু সামগ্রী, পরিচয় পত্র উদ্ধার করেন। মোস্তফা কামাল নামের ব্যক্তির দুটি পরিচয় পত্রের মধ্যে একটি অনলাইন টিভির মালশিয়া ডিরেক্টর ও অন্য একটি টিভির নাম ব্যবহার করে পরিচয়ে পত্রে নিজের নামের আগে ডাক্তার ব্যবহার করা হয়। এদিকে বিষয়টি নিয়ে সোমবার রাতে শাহীন মিয়া বাদি হয়ে চার জনকে আসামি করে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পুলিশ তিন তিনের রিমান্ড আবেদন করে মঙ্গলবার দুপুরে ময়মনসিংহ আদালতে সোপর্দ করেছে।
ইশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মো. বদরুল আলম খান বলেন, সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে মামলা হওয়ায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

খবর ৭১/ ই:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here