খবর ৭১ঃ সাংবিধানিক ঐতিহাসিক এক স্বীকৃতি পেলেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি জিনপিং। তিনি এখন থেওকে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত দেশটির প্রেসিডেন্ট থাকতে পারবেন। সংবিধান সংশোধন করে তাকে এমন বৈধতা দিয়েছে সেদেশের আইন প্রণেতারা। আজ রোববার তারা প্রেসিডেন্টের নির্দিষ্ট মেয়াদের রীতি বাতিল করে এ আইন সংশোধন করেন। চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের প্রায় তিন হাজার ডেলিগেটস সংবিধান সংশোধনে তাদের রায় দেন। এর পক্ষে রায় দিয়েছেন ২৯৫৮ জন ডেলিগেট। বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন মাত্র দু’জন। ভোটদানে বিরত ছিলেন তিনজন। একটি ভোট অবৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি। এতে বলা হয়, ১৯৬৬ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত মাও সেতুংয়ের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের মাধ্যমে চীনের জীবনযাত্রায় একটি স্বৈরতান্ত্রিক সরকার চেপে বসেছিল। সেই ধারা যাতে আর চীনে ফিরতে না পারে এ জন্য ১৯৮২ সালে চীনের প্রেসিডেন্টের জন্য নির্ধারিত মেয়াদ বেঁধে নিয়ে সংবিধান সংশোধন করেন সাবেক চীনা নেতা দেং সিয়াওপিং। তার সেই বিধানের অধীনে একজন প্রেসিডেন্টের নির্দিষ্ট মেয়াদ ৫ বছরের। এরপর আবার নতুন করে নির্বাচিত হতে হয়। একজন প্রেসিডেন্ট পর পর সর্বোচ্চ দুই দফা ক্ষমতায় আসতে পারেন। কিন্তু সেই ধারা থেকে মুক্ত হলেন সি জিনপিং। তিনি এখন যতদিন খুশি ততদিন বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি চীনের প্রেসিডেন্ট থাকতে পারবেন। এ জন্য রোববার বিকালের দিকে ভোট শুরু হয়। সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর সাত সদস্যের পলিটব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটি ভোট দেন। এই কমিটির প্রধান সি জিনপিং। তিনি কমলা রঙের ব্যালট পেপার লাল ব্যালটবক্সে ফেলে দেন। এরপরই ভোট দিতে থাকেন নি¤œ পদের নেতাকর্মীরা। এর দশ মিনিট পরে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হয়। ডেলিগেটদেরকে তাদের আসনে ফেরত যেতে বলা হয়। শুরু হয় ভোট গণনা। স্থানীয় সময় বিকাল ৩টা ৫০ মিনিটের সামান্য পরে ফল পড়ে শোনানো শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গে বিশাল স্ক্রিনে ওই ফল দেখানো হয়। সদস্যদের মুহুর্মুহু করতালির মধ্য দিয়ে ঘোষক বলতে থাকেন, সংবিধান সংশোধিত হয়েছে।
খবর ৭১/ইঃ