স্বপন বিশ্বাস মাগুরা প্রতিনিধি:
মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের গার্লস হোস্টেলের একটি কক্ষ থেকে শনিবার সকালে সুদেসনা মন্ডল চৈতী (১৯) নামে এক ছাত্রীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু সুদেসনার লাশ উদ্ধার করার সময় ভাই পরিচয় দেয়া রিগ্যান নামের এক যুবক ও তার দ্ররুত পালিয়ে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। পুলিশ ও হোস্টেল কর্তৃপক্ষ জানান- হোস্টেলের চতুর্থ তলার একটি কক্ষে রুমের অন্যান্য বান্ধবীরা না থাকায় একাই অবস্থান করছিল বাংলা বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্রী সুদেসনা । গতরাত ৮টার পর থেকে সে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়। রাতে কিছু না খেয়ে ঘরের লাইট বন্ধ করে দেয় সে । সকাল ১১টা পর্যন্ত সেরুমের দরজা খুলছিল না। সকাল ১১ টার দিকে তার ভাই পরিচয় দিয়ে রিগ্যান নামে এক যুবক এসে হোস্টেল গেটে তাকে ডেকে দিতে বলে। এ সময় দারোয়ান গিয়ে তার রুমের জানালা দিয়ে তাকে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে রিগ্যান ও দারোয়ান মিলে দরজা ভেঙ্গে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে। এ সময় ভাই পরিচয় দেয়া রিগ্যান নামে ওই যুবক দ্ররুত দৌড়ে পালিয়ে যায় ।পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে মাগুরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। সুদেশনা জেলার শ্রীপুর উপজেলার চৌগাছি গ্রামের স্কুল শিক্ষক রূপ কুমার মন্ডলের মেয়ে। রূপ কুমার মন্ডল সাংবাদিকদের কাছে জানান তার মেয়ে গোপনে রিগ্যান নামে ওই যুবকের সাথে কথা বলতো। তার সঙ্গে মনমালিন্য বা মান অভিমান করে মেয়ে আত্মহত্যা করেছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে আহবান জানিয়েছেন তিনি। তবে তিনি রিগ্যান সম্পর্কে বিস্তারিত কিছুই জানাতে পারেননি। মাগুরা সদর থানার এসআই শফিকুল ইসলাম জানান- লাশ ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আত্মহত্যার ব্যাপারে কারও প্ররোচনা ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
খবর ৭১/ ই: