খবর ৭১: বিএনপি পন্থী চিকিৎসকরা অভিযোগ করেছেন, বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্ট, হার্টের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ ও হাটু সংক্রান্ত রোগে ভুগছিলেন। কারাগারে যাওয়ার পর সেসব সমস্যা আরও বেড়ে গেছে। ইতোমধ্যে তিনি বাইরের ডাক্তারদের পরামর্শ নিতে চাইলেও কারা কর্তৃপক্ষ অনুমতি দিচ্ছে না।
সোমবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন সচেতন চিকিৎসক সমাজ।
সংবাদ সম্মেলনে অর্থপেডিক বিশেষজ্ঞ ও বিএমএ’র সাবেক সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. রফিকুল কবির লাবু বলেন, আমরা খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু কারাকর্তৃপক্ষ দেখা করার অনুমতি দেয়নি। পরে আইজি প্রিজনের কাছে চিঠি দিলেও কোনও ধরনের সাড়া পাইনি। আমরা বিভিন্ন বিষয়ের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মিলে দেখা করতে গিয়েছিলাম। দেখে চিকিৎসা দিলে অবশ্যই তিনি ভালো হতেন বলে আমরা আশাবাদী।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া কিছুদিন আগে চোখের অপারেশন করিয়েছেন। ৩০ বছর ধরে হাটু সংক্রান্ত অস্টিও আর্থোসিস রোগে ভুগছিলেন। প্রচণ্ড হাটু ব্যথায় ওনার স্বাভাবিক চলাফেরায় ব্যাঘাত ঘটছিল। এক পর্যায়ে হাটু সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে দুই হাটু প্রতিস্থাপন করে কৃত্রিম হাটুর জোড়া লাগানোর অপারেশন করান। এর পর থেকে কঠোর নিয়ম কানুনের মধ্যে থাকায় তার হাটুতে কোন সমস্যা হচ্ছিলনা। তবে কারাগারে যাওয়ার পর আবার হাটুর ব্যথা বেড়েছে। ওনার চলাচলের অবস্থা, ওয়াশরুম ব্যবহারের পদ্ধতি সবকিছুর ব্যাপারেই একজন হাটু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ প্রয়োজন। তা নাহলে কারাগারের পরিবেশের জন্য কৃত্রিম জোড়া লাগানো দুটি হাটু কোনভাবে ঢিলে হয়ে গেলে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়তে পারে।
বাইরের চিকিৎসক দিয়ে খালেদা জিয়ার শরীরের সার্বিক পরীক্ষা-নিরিক্ষা ও সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়ে ডা. রফিকুল কবির বলেন, অন্যথায় কোনও ক্ষতি হলে তার দায়ভার সরকারকে নিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএমএ’র সাবেক সভাপতি ও সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক অধ্যক্ষ ডা. একেএম আজিজুল হক, বিএমএ’র সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিডনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আব্দুস সালাম, ড্যাবের সহসভাপতি অধ্যাপক ডা. শহীদ হাসান, উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যানসার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ সহযোগী অধ্যাপক ডা. শহীদুল আলম প্রমুখ।