খবর৭১:জাহিরুল ইসলাম মিলন।যশোর জেলা প্রতিনিধি:
যশোর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস এখন কর্তব্যরত পুলিশের দখলে। পুলিশি বাঁধার কারণে পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট গ্রাহকরা ঢুকতে পারছে না। তাদেরকে কর্তব্যরত পুলিশ নানান ভাবে হয়রানি করছে বলে একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই সাথে পুলিশ পাসপোর্ট গ্রাহকদের সাথে দুর্ব্যবহার করছে।
কর্তব্যরত পুলিশের দুর্ব্যবহারের স্বীকার হয় পাসপোর্ট অফিসে কাজে যাওয়া সাংবাদিকরাও।
মোটরসাইকেল নিয়ে পাসপোর্ট অফিসের ভিতর ঢুকতে গেলে কর্তব্যরত পুলিশ কনসটেবল মহব্বত তাদেরকে বাধা দেয়। পরিচয় জানতে চাওয়া হয়। সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া হলে কনসটেবল মহব্বত বলে সাংবাদিক তাতে কি হয়েছে। মোটরসাইকেল নিয়ে ভিতরে ঢোকা যাবে না। এসময় এএসআই নিধু ও নায়েক মমিরুলও কনসটেবল মহব্বতের সাথে তাল মেলায়। বিষয়টি আঞ্চলিক পাসপোট অফিসের সহকারি পরিচালক জামাল হোসেনকে জানালে তিনি বলেন, দেখেন পুলিশের উপর এখন আর কেউ নেই। পুলিশ যা বলছে তাই হচ্ছে। আপনারও করার কিছু নেই আমারও করার কিছু নেই।
অভিযোগ রয়েছে- বহিরাগত দালালদের সাথে তাল মিলিয়ে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা পাসপোর্ট গ্রাহকদেরকে হয়রানি করছে। দালালদের খপ্পরে পড়ে বাঁচার জন্য পাসপোর্ট গ্রাহকরা পুলিশের শরনাপন্ন হয়। কিন্তু দালালদের চেয়ে পাসপোর্ট অফিসে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা আরো ভয়ঙ্কর। দালালদের হাত থেকে বাঁচার জন্য পাসপোর্ট গ্রহকরা কর্তব্যরত পুলিশের কাছে সাহায্যের জন্য গেলে আরো বেশি হয়রানির স্বীকার হচ্ছে। পাসপোর্ট অফিসে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা গ্রাম-গঞ্জ থেকে আসা নিরীহ পাসপোর্ট গ্রাহকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। এবিষয়ে ভুক্ত ভোগীরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে নজরদারি কামনা করেছেন।
খবর৭১/জি: