খবর ৭১: মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের আগামী দুই সপ্তাহের েমধ্যে ফিরিয়ে নেয়ার কার্যক্রম শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম ‘মিয়ানমার টাইমস’
বাংলাদেশ সরকার প্রত্যাবাসনের জন্য ৮০২৩ জন রোহিঙ্গার তালিকা তুলে দিয়েছে মিয়ানমারের হাতে। দেশটির শীর্ষস্থানীয় একজন মন্ত্রীর বরাত দিয়ে মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ওই তালিকা যাচাই বাছাইয়ের জন্য দু’সপ্তাহের মতো সময় লাগবে। এরই পরই শুরু হতে পারে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়া।
এর আগে গত বুধবার মিয়ানমারের সমাজ কল্যাণ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক মন্ত্রী ইউ উইন মিয়াত আই বলেন, যাচাই বাছাইকৃত তালিকা আমরা বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করবো। বাংলাদেশের সবুজ সংকেত পেলেই প্রত্যাবর্তন শুরু করবো আমরা।’ স্থল ও নৌরুটে প্রতিদিন গড়ে ৩শ রোহিঙ্গাকে ফেরত নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
এরআগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দুই দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এর আগে ১১ হাজার মিয়ানমার নাগরিকের (রোহিঙ্গা) তালিকা দিয়েছিলাম। ওই তালিকা যাচাই-বাছাই করছে মিয়ানমার। এবার বিচ্ছিন্নভাবে নয়, ১ হাজার ৬৭৩ পরিবারের ৮ হাজার ৩২ জন মিয়ানমার নাগরিকের তালিকা তাদের কাছে দিয়েছি।’
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই তালিকা থেকে সাড়ে ছয় হাজার রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিতে ২৯ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক পদক্ষেপ নেবে মিয়ানমার। একইদিনে মিয়ানমারের মন্ত্রী ড. উইন মিয়াত জানিয়েছিলেন, সরকার খতিয়ে দেখবে যে তারা আদৌ মিয়ানমারে বাস করতো কি না এবং কোনও সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল কি না। এরপর আমরা সেই লিস্ট তাদের পাঠাবো। এরপর দিনে ২০০-৩০০ জনকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করবো।
এর আগে গত জানুয়ারি রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়া শুরু হওয়ার কথা থাকলেও প্রত্যাবাসন চুক্তি অনুযায়ী সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন না হওয়ায় প্রত্যাবাসন স্থগিত হয়।