অনিদ্রা দূর করার উপায়

0
928

খবর ৭১: রাত জেগে অফিসের কাজ, সিনেমা দেখা কিংবা ইন্টারনেট ব্রাউজিং বন্ধ করতে হবে ৷ ভাবছেন এ আবার কেমন কথা? চিকিৎসকদের মতে, দেরি করে ঘুমতে যাওয়া, রাত ভর জেগে থাকা ,অসময়ে ঘুমনো- এসবের জন্যই হতে পারে আপনার শারীরিক অসুস্থতার কারণ ৷ শুধু তাই নয়, অকালেই কেড়ে নিতে পারে আপনার যৌবনের সৌন্দর্য্য, এমনকি ঘটতে পারে স্ট্রোকও ৷ দৈনদিন জীবনে যতই চাপ থাকুক না কেন, সেই চাপ যেন কিছুতেই রাতের ঘুমে কোন প্রভাব না ফেলে সেই দিকে সদা সজাগ থাকতে হবে।

আরলি টু বেড অ্যান্ড আরলি টু রাইস- এর পরের লাইনগুলো আমাদের সবারই জানা। তবে এর প্রভাব ছোট বেলার বইয়ের পৃষ্ঠাতেই সীমাবদ্ধ ৷

-চিকিৎসকদের মত অনুযায়ী ঠিক সময়ে ঘুমের পাশাপাশি রাতের খাওয়ার তালিকা থেকে বেশ কিছু খাদ্যের অভ্যাস ত্যাগ করলেই আসতে পারে নিশ্চিন্তে ঘুম ৷ তবে কি কি খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিলে আসবে সুনিদ্রা? বাদের তালিকায় রয়েছে, আইসক্রিম, চকলেট, পনির, গ্রিন টি, মাংস, মশলাদার খাওয়ার। অতিরিক্ত অকারণে চিন্তাও সহজেই কেড়ে নিতে পারে আপনার সাধের ঘুম ৷

-সহজেই হজম হয় এমন ধরনের খাওয়ার খেতে হবে। দৈনিকের তালিকায় রাখতে হবে ফল ও পরিমান মতো পানি। এর পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম রাখতে কিন্তু মোটেও ভুলে গেলে চলবে না ৷

-প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস করুন। ছুটির দিনসহ প্রতিদিন একই সময়ে ঘুম থেকে উঠে পড়ুন।

-শোয়ার ঘর কেবল ঘুমের জন্য ব্যবহার করুন। সেখানে যেন অতিরিক্ত শব্দ বা আলো না থাকে।

-ঘুমের আগে হালকা গরম পানির গোসল, বই পড়া, মৃদু গান, উপাসনা বা ইয়োগা সাহায্য করতে পারে। বারবার ঘড়ি দেখবেন না।

-ঘুমানোর চার-ছয় ঘণ্টা আগে ভারী কাজ, ব্যায়াম এবং অ্যালকোহল, কফি, ধূমপান এড়িয়ে চলুন।

-ঘুমানোর দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নিন। এরপর খিদে পেলে এক গ্লাস দুধ খেতে পারেন।

-শুনতে অদ্ভূত লাগলে এটি সত্যি যে, জেগে থাকার চেষ্টা করলেই বরং অনিদ্রা দূর করা সম্ভব। ঘুম না আসলে ঘুমানোর চেষ্টা না করে উল্টা নিজেকে জেগে থাকার জন্য ‘চ্যালেঞ্জ’ করা উচিত। চোখ পুরোপুরি খুলে রেখে নিজেকে বলতে হবে, আমি কোনোভাবেই ঘুমাবো না। আর এতে করে মস্তিষ্কে প্রভাব পড়বে। আর মস্তিষ্ক ঘুমানোর প্রস্তুতি নিতে শুরু করবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here