সোমবার ভোর রাত সাড়ে ৫টার দিকে গিলেতলাস্থ নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
বাদ জোহর নগরীর শহীদ হাদিস পার্কে মরহুমের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। বাদ আসর গিলেতলায় দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত
ভাষা সৈনিক গাজী শহীদুল্লাহ ১৯৩৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি খুলনা মহানগরীর খানজাহান আলী থানার গিলেতলা গ্রামে একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে যোগদান করেন। তার বাবার নাম গাজী শামসুর রহমান। তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী এবং ইউনিয়ন মুসলিম লীগের সম্পাদক ছিলেন। তিনি দৌলতপুর বিএল কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৫৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বিএল কলেজে খুলনা জেলার প্রথম সুদৃশ্য ও বৃহৎ শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন।
গাজী শহীদুল্লাহ ১৯৬২ সালে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন বাতিল এবং ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানসহ বিভিন্ন আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭০ এ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে (খুলনার ডুমুরিয়া-ফুলতলা-তালা আসনে) ভাসানী ন্যাপের হয়ে সাধারণ নির্বাচনে অংশ নেন। তিনি ১৯৭৩ সালে খুলনা পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ওই সময় তিনি খুলনার শহীদ হাদিস পার্কে শহীদ মিনার নির্মাণ করেন।
তিনি ২০০১ সালের শেষ ভাগে খুলনা জেলা বিএনপিতে যোগদান করেন। কিন্তু, দলের পক্ষ থেকে যথাযথ মূল্যায়ণ ও সম্মান প্রদর্শন না করায় তিনি বিএনপির সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেন।
গাজী শহীদুল্লাহ বর্তমানে খুলনা জেলা ভাষা সৈনিক সংসদের সভাপতি ও একুশের চেতনা পরিষদের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।
শোক : প্রবীণ রাজনীতিক গাজী শহীদুল্লাহর ইন্তেকালে গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ করে মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর সদস্য সচিব মো. শহীদুননবী ডাবলু, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম।