খবর৭১:রাকিব হাসান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর বাউফলের কালাইয়া ইউনিয়নের কর্পূরকাঠী গ্রামে দিনমজুর সংখ্যালঘু পরিবারের এক শিশু কন্যাকে (১০) বসত ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে বলে জাহাঙ্গীর আকন (৫০) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবেশি নারীরা ঘটনাটি হাতে নাতে ধরে ফেললে ধর্ষক এসময় পালিয়ে যায়। রোববার বেলা আড়াইটার দিকে ওই ঘটনা ঘটছে। শিশুটির মা বাবা বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্যকে জানালে তিনি ও স্থানীয় সালিশগণ ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন বলে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, রোববার বেলা আড়াইটার দিকে একই গ্রামের শেহের আলী আকনের ছেলে জাহাঙ্গীর আকন কন্যা শিশুটির ঘরে ঢুকে জোর করে তাকে ধর্ষণ করে। এসময় শিশু কন্যাটির মা অন্যের ক্ষেতে কামলা দিতে এবং বাবা টমটম চালাতে ঘরের বাহিরে ছিলেন। ধর্ষণের সময় ধস্তাধস্তির শব্দে প্রতিবেশি কয়েকজন নারী এগিয়ে এলে ধর্ষক দৌড়ে পালিয়ে যায়। এরপর তারা শিশু কন্যাটির মা বাবাকে বিষয়টি জানালে বাবা মা ঘটনার বিচার চাইতে স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল ইসলামের কাছে যান।
নূরুল ইসলাম স্থানীয় কয়েকজন সালিশদার নিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত সালিশ করেন। এক পর্যায়ে সালিশগণ অভিযুক্ত জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা জরিমানা আদায় করে স্থানীয় নেতাকর্মী ও কয়েকজন সাংবাদিকদের ম্যানেজ করেন। সেই সাথে শিশুটির মা বাবাকে মান সম্মানের অজুহাত দেখিয়ে এ বিষয়ে কারো সাথে মুখ খুলতে নিষেধ করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই গ্রামের একজন সংখ্যালঘু জানান, অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আকন স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী। টাকার বিনিময়ে সব ম্যানেজ করেছেন এবং শিশুটির মা-বাবাকে মুখ খুললে দেশান্তর করবেন বলে হুমকিও দিয়েছেন। ফলে দিনমজুর কন্যা শিশুটির মা-বাবা প্রভাশালীদের ভয়ে মুখ খুলতে পারছেন না। অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আকনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে নুরুল ইসলাম মেম্বার সাংবাদিকদের নিজেকে সালিশের সাথে সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ঘটনাটি ধর্ষণ নয়, ধর্ষণের চেষ্টা। আপোশ রফা যদি হয় তবে তা হয়েছে মেয়ের মা বাবা ও অভিযুক্ত ব্যক্তির পরিবারের মধ্যে। এখানে আমার কোন হাত নাই।
বাউফল থানার ওসি মনিরুল ইসলাম সোমবার জানান, এ ধরণের কোন ঘটনার খবর জানা নেই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খবর৭১/জি: