উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়াইলের ভদ্রবিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রভাষ রায় হানুকে হত্যার দায়ে ওই ইউপি চেয়ারম্যান ও তাঁর পরিবারের ৫ সদস্যসহ নয়জনকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন খুলনার একটি বিশেষ আদালত। একই সঙ্গে, প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। দুপুরে খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের বিচারক এম এ রব হাওলাদার এ রায় দেন। এ সময় দন্ডপ্রাপ্ত সব আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এরা হলেন-সদর উপজেলার ভদ্রবিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুর রহমান মিনা ওরফে শহিদ, তাঁর ভাই ইলিয়াস মীনা, শহিদুর রহমান মিনার ছেলে আসিকুর রহমান মিনা, শহিদের ভাতিজা রাসেল মিনা ও মামুন মিনা। এছাড়া হেদায়েত মোল্যা, ইয়াসিন মোল্যা, বাশার মোল্যা ও রবিউল ইসলাম মোল্যা। রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী এনামুল হক, আসামিপক্ষের আইনজীবী মনজুর আহমেদ, রজব আলী সরদার ও মামুন রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছেন। জানা যায়, ২০১৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ভদ্রবিলার মীরা পাড়ায় ফারুকের চায়ের দোকের সামনে সন্ধ্যায় ভদ্রবিলা ইউনিয়আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রভাষ চন্দ্র রায় হানুকে আসামীরা ছুরিকাঘাত করে। পরে, যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান প্রভাষ। ঘটনার পর নড়াইল সদর থানায় নিহতের স্ত্রী টুটুল রানী রায় বাদী হয়ে এই নয় আসামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। সদর থানার এস আই ভবতোষ রায় নয় আসামীর বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করেন। আসামী শহিদুর রহমান মিনা গত ইউপি নির্বাচনে ভদ্রবিলা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে নির্বাচিত হন। নিহতের স্ত্রী ও হত্যা মামলার বাদী টুটুল রানী রায় তার প্রতিক্রিয়ায় যুগান্তরকে বলেন,‘ আমার প্রত্যাশা মতো মামলার রায় ঘোষিত হওয়ায় আমি সর্বোচ্চ খুশি। এ রায় যেন উচ্চ আদালতে বহাল থাকে এবং দ্রুত কার্যকর হয়। আমার মতো আর কেউ যেন স্বামী হারা না হয়। আমার স্বামী হত্যার বিচার যেভাবে দ্রুত সম্পন্ন হয়েছে। সব হত্যাকান্ডের বিচার যেন এভাবেই দ্রুত সম্পন্ন হয়। অপর এক প্রতিক্রিয়ায় মামলার অন্যতম স্বাক্ষী ও সদর উপজেলার ভদ্রবিলা ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক খাইরুজ্জামান ফকির আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে জানান, বলেন,‘এ রায়ে বাদী পক্ষ এবং আ’লীগের নেতা-কর্মীরা সকলেই খুশি। তবে আসামী পক্ষ অ্যাপীল করলে এ রায় যেন উচ্চ আদালতেও বহাল থাকে এ প্রত্যাশা রাখি।’রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী অ্যাড. এনামুল হক জানান, মোট ১৮ জন সাক্ষির মধ্যে ১৭ জন আসামীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে রবিবার নির্ধারিত দিনে বিচারক এম এ রব এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষনার পর আসামীর স্বজনরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। আর বাদী পক্ষ দ্রুত রায় বাস্তবায়নের দাবি জানান।
খবর ৭১/ এস: