লালমনিরহাটে আদালতের আদেশ অমান্য করে নিয়োগ চুড়ান্ত

0
367

আসাদুল ইসলাম সবুজ, লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের মৃত্তিঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভুয়া সার্টিফিকেট, জন্ম নিবন্ধন ও অষ্টম শ্রেনী পাশের সনদ দেখিয়ে দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী পদে নিয়োগ দেওয়া হয় মাহাবুবার রহমানকে। এ ঘটনায় আদালতে মামলা দায়েরের পর আদালত নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত আদেশ দেন। তারপরে আদালতের আদেশ অমান্য করে উক্ত ব্যক্তিকে উৎকোচের বিনিময়ে ব্যাক ডেট নিয়োগ দেখানো হয়েছে।
জানা গেছে, স্মারক নং উশঅ/সদর/ লাল/ নিয়োগ ২০১৭/১৮৯ গত ১৪ ফেব্রুয়ারী/ ১৭ তারিখে লালমনিরহাট উপজেলা শিক্ষা অফিস কর্তৃক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে নৈশ প্রহরী পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেখানে ০১ মার্চ/ ১৭ইং তারিখ পর্যন্ত ১৮ থেকে ৩০ বছর হতে হবে মর্মে উল্লেখ করা থাকলেও ওই স্কুলের জন্য গত ২৮ ডিসেম্বর/ ১৭ তারিখে উপজেলা শিক্ষা অফিসে মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত পরীক্ষায় মোট ৮জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহন করে। মৌখিক পরীক্ষা শেষে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মেধা মুল্যায়ণ না করে নৈশ প্রহরী হিসেবে মাহাবুবার রহমানকে নিয়োগ দিয়েছে বলে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নিশ্চিত করেন। ভোটার আইডি সুত্রে তার জন্ম তারিখ ২ মে/ ৮৪ মোতাবেক তার বয়স হয় ৩৩বছর ৭মাস ২৯দিন। তার ভোটার নং ১৬৪, আইডি নং ৫২০৫২২২৮৮৪৫৮। ভুয়া সার্কিফিকেট, ভুয়া জন্ম নিবন্ধন ও ভুয়া ৮ম শ্রেনী পাশের সনদ অনুযায়ী তার ৩০ বছরের মধ্যে হলে বর্তমান ওই পরীক্ষার্থীর প্রকৃত বয়স ৩৪বছর এবং এস এসসি পরীক্ষার মুল ট্রেবুলেশন সীট অনুযায়ী তার জন্ম তারিখ ৭/১/১৯৮৪। এদিকে আবেদনের জন্য উক্ত পরীক্ষার্থী আরেকটি জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদান করেছে। একই ব্যক্তির দু’রকম জন্ম তারিখ ও বয়সসীমা হওয়ায় কেমনি মাহাবুবার রহমানকে নিয়োগ প্রদান করলেন ? এছাড়া ১৯৯৫ সালে মহেন্দ্রনগর উচ্চবিদ্যালয়ে ভর্তি হয় ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে আর ওই বিদ্যালয় হতে ১৯৯৯-২০০০ শিক্ষা বর্ষে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে ২০০১ সালে পাশ করে। যার রেজিনং-৭৬০৫৫২, রোল নং- ৬১৫৩৭৩, বিদ্যালয় কোড ৭২৭৭, কেন্দ্র কোড ৩৫১ এবং তার গ্রেড ২.০০, জন্ম তারিখ-৭/১/১৯৮৪ইং। এমন জাল-জালিয়াতির ঘটনায় অপর আরেকজন চাকুরী প্রার্থী মো: হাফিজুর রহমান নামের ব্যক্তি বিজ্ঞ সহকারী জজ সদর লালমনিরহাটে একটি ম্মালা দায়ের করেন। মামলা নং অন্য ৫২/১৮ (লাল), তাং ৮/১/২০১৮ইং। উল্লেখ্য গত ৭/১/২০১৮ইং তরিখে সমস্ত জাল-জালিয়ারিত ঘটনার বর্ণনা দিয়ে লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করার হরেও কোন প্রকার সুফল না পাওয়ায় হাফিজুর রহমান আদালতের আশ্রয় নিলে আদালত ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত আদশে প্রদান করেন। এর পরেও আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ৩১/১২/২০১৭ ইং তারিখ ব্যাক ডেট দিয়ে নিয়োগ দেয়ার ঘটনায় এলাকায় সমালোচার সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা নুরজাহান বেগমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি স্বীকার করে বলেন, নিয়ম অনুযায়ী নৈশ প্রহরী হিসেবে মাহাবুবার রহমানকে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। যার স্মারক নং সদর/লাল/২০১৭/১১১১/৮।

খবর ৭১/ ই:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here