ঢাকা প্রতিনিধি : বিশিষ্ট শিল্পপতি, সফল ব্যবসায়ী, সমাজ সেবক ও জনবান্ধব আদম তমিজি হকের জন্ম ১৯৭৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর, রাজধানীর ইস্কাটন এলাকায়। তবে পারিবারিক কারণে ছেলে বেলায়ই পাড়ি জমাতে হয়েছে বিদেশে। সেখানে পড়াশুনার পাঠ চুকিয়ে দেশে ফিরে যুক্ত হন ব্যবসায়। বর্তমানে হক গ্রুপ অব ইন্ডাষ্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন।
ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি জাতির জনকের আদর্শ লালন, বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ এবং উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে সব সময়ই অবদান রেখে চলেছেন তিনি। একই সাথে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করার আগ্রহ রয়েছে।
মেহনতি মানুষের লড়াকু যোদ্ধা আদম তমিজি হক। মানুষের জন্য সারাটা জীবন তিনি কাজ করতে চান। তাই কাজ করে চলছেন। তিনি বলেন, মাটি ও মানুষের জন্য আমার রাজনীতি। তিনি গরীব, দু:খি, মেহনতি মানুষসহ সমাজের উন্নয়নে সর্বদা নিজেকে উৎসর্গ করে দিয়েছেন। ঢাকা উত্তরবাসীর সেবক হতে চান তিনি। তাই ঢাকা উত্তর মেহনতি মানুষের আকাঙ্খার পূরণে দৃর্বার গতিতে এগিয়ে চলছেন এই রাজনীতিবীদ। বৈষম্যহীন সাম্যের সমাজ গড়ার পথে আদম তমিজি হক ঢাকা উত্তর তথা ঢাকার রাজনীতিতে এক সংগ্রামী নাম।
যিনি বিশেষ করে মেহনতি মানুষের আপনজন হিসেবে বেশ পরিচিত। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, তরুন আ’লীগ নেতা ও শিল্পপতি আদম তমিজি হক। তিনি তার কর্মদক্ষতা, সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ড এবং ব্যতিক্রমধর্মী সামাজিক কর্মকান্ডে ঢাকা উত্তরের প্রতিটি ওয়ার্ডে নানা শ্রেনী পেশার মানুষের ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছেন।
পূজিঁবাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মেহনতি মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়নে তাঁর এসব মহৎ কর্মকান্ডে সাধারণ মানুষ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এব্যাপারে আদম তমিজি হক বলেন, কলো টাকা, পেশী শক্তি ও দুর্নীতিবাজদের পরাস্ত করা এবং দেশবাসী তথা ঢাকার উত্তরের নগরবাসীর অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সিটিতে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জননেত্রী শেখ হাসিনার আর্শিবাদ পেলে উত্তরের জনগনের সেবা করতে চান।
তিনি আরও বলেন, সবার জন্য বাসযোগ্য মানবিক, পরিবেশবান্ধব, যানজটমুক্ত রাজধানী গড়া, সেবার মান উন্নত করার জন্য (২৪ ঘণ্টা ৭ দিন) কল সেন্টার চালু, নারীদের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, জলাবদ্ধতা দূর করা, যানজট নিয়ন্ত্রণ, বাড়িভাড়া আইন বাস্তবায়ন, পাঠাগার, পার্ক-বিনোদন কেন্দ্রের ব্যবস্থা, বস্তিবাসীদের উন্নয়নে কাজ করা, পর্যাপ্ত নিরাপদ গণশৌচাগার, খাল-জলাশয় দখলদারদের উচ্ছেদ, ঐতিহাসিক স্থাপনা রক্ষা, পরিবেশবান্ধব নগর গড়ে তোলা, ছিন্নমূল মানুষের জন্য শেল্টার হোম, ডে-কেয়ার সেন্টার চালু, ই-সেবা চালু, ফরমালিন ও বিষমুক্ত খাবার নিশ্চিত, বর্জ্যসমূহ ট্রিটমেন্ট করে বিদ্যুৎ, সার ও জৈব গ্যাস উৎপাদন, ভূমিহীনদের মধ্যে খাসজমি বন্টন, কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ জনকল্যানমুখী কর্মকান্ডে নাগরিক সেবা নিশ্চিতে কাজ করতে অঙ্গিকারাবদ্ধ আমি।
মূলত: নাগরিক সেবা যথাযথভাবে নিশ্চিতে দীর্ঘ লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে আসছেন এই তরুন এই আ’লীগ নেতা। অর্থাৎ মানবিক সমাজ গড়া-ই যার মূল লক্ষ্য। অভিজ্ঞমহল বলছেন, আমরা চাই স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতা সম্পন্ন নগর প্রশাসন ও নগর নেতৃত্ব।
তরুণ প্রজন্মের বক্তব্য : যে সমস্ত ব্যক্তিরা আমাদের প্রেরণা দায়ক, অন্যায় অবিচার এর বিরুদ্ধে লড়ার দিক্ষা পায়, যাদের অনুসরন করে আমরা সত্যে সন্ধানে উন্মোচিত হব, যাদের আদর্শ আমাদের পথ-প্রদর্শক, যারা স্বপ্ন দেখেন সুষ্ঠু সুন্দর একটি সমাজ-একটি দেশ গড়ার, যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম শুধু মাত্র দেশ-মাতৃকার কল্যানের জন্য, আমরা সেই সমস্ত আলোর দিশারীদের হাতের নাগালে পেয়েও এড়িয়ে চলি। আজ তেমনই একজন আলোর দিশারী, ঢাকাবাসীর মাটি ও মানুষের গর্ব, তিনি হলেন আদম তমিজি হক। যার কিছু কাজ আমাদেরকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়তে অনুপ্রানিত করে।
হে দুর্বার, অবিচল, গরিব- দুঃখী মেহনতি মানুষের চোখের পাতা, আমাদের অহংকার, জীবনের অঙ্গীকার, আলোর দিশারী। তোমার মেহনতি মানুষের সাম্যের সমাজ বিনির্মাণের আদর্শই বাস্তবে রূপ পাক এই রাজধানীর ঢাকাবাসী, এরকমই প্রত্যাশা তরুণ প্রজন্মের, যারা অন্ধকার ভেদ করে আলোর পথে অবিরাম গতিতে সংগ্রাম অব্যাহত রেখে আসছেন।
এদিকে তিনি (আদম তমিজি হক) আরও বলেন, আমার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হক গ্রুপের শ্রমিক, কর্মচারী, পরিবেশক, সাপ্লাইয়ার সবাই মিলে এটি একটি পরিবার। এই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে আমরা আমাদের গ্রাহকদের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। হক পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার জন্য আমাদের প্রতিটি স্থাপনা সঠিকভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় সন্নিবেশিত।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি নয় বছর বয়সে বিদেশ গমন করেছি এবং সেখানেই পড়াশুনা শেষ করেছি। কিন্তু মন পড়ে ছিল দেশে। সময় পেলেই দেশে আসতাম। কারণ দেশ আমাকে সব সময়ই টানতো। আমি পারিবারিকভাবে দেশকে চিনেছি ও বুঝেছি বঙ্গবন্ধুর মাধ্যমে। কারণ বাবার কাছ থেকে বঙ্গবন্ধুর গল্প শুনেছি।
আমার বাবার কলকাতায় লেখাপড়া করার সুবাদে বঙ্গবন্ধুর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়। বাবাই আমাকে বুঝিয়েছিলেন, বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। কারণ, তিনিই আমাদেও দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন।
আমার মনে সব সময় একটি বিষয় পীড়া দিত এই কারণেই, যে ব্যক্তিটি দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, যার মাধ্যমে একটি দেশ ও পতাকা পেয়েছি, সেই মহান ব্যক্তিকে কিভাবে এই দেশের কিছু ষড়যন্ত্রকারী হত্যা করেছে। শুধু হত্যা করেই নয়, তার নামটাও স্বাধীনতাবিরোধীরা মুছে দিতে চেয়েছিল। এগুলো আমি মানতে পারতাম না।
তাই আমার লক্ষ্য ছিল পড়াশুনা শেষ করে দেশে গিয়ে বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন, সেই সোনার বাংলা বিনির্মাণে একটু হলেও অবদান রাখার চেষ্টা করবো।
তেমনি ব্যবসার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন সামজিক কর্মকান্ডে অংশ গ্রহণ করি। বর্তমান দেশের একটি অন্যতম সমস্যা রোহিঙ্গা সমস্যা। এই বাস্তহারা রোহিঙ্গাদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অনুদান দিয়েছি। এছাড়া প্রতি সপ্তাহে কোম্পানির পক্ষ থেকে তাদের জন্য ত্রাণ পাঠাচ্ছি।
আমি টঙ্গী, গাজীপুরেও বেশ কয়েকটি মসজিদের উন্নয়নসহ আঞ্জুমান হেদায়াতুল উম্মত এতিমখানার তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব নিয়েছি।প্রতিবছর শীতার্ত মানুষের জন্য কম্বল বিতরণ করছি। এছাড়াও কক্সবাজারের হিমছড়িতে তমিজুল হক কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেছি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবশ্যই বর্তমানে তরুণ নেতৃত্ব খুবই জরুরী। পুরাতন যারা রয়েছেন তারা কেউই খারাপ কাজ করছেন না। তবে তরুণ প্রজন্মের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পারবে তরুণ নেতৃত্বই। বর্তমান দেশ পরিচালনার জন্য এডভান্সড, এডুকেইটেড ও সফিস্টিকেটেড লোক প্রয়োজন।
যার সবগুলোই তরুণ নেতৃত্বের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। কয়েক বছর পরে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে একটি শক্ত অবস্থান অর্জন করবে। তাই যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে তরুণ নেতৃত্ব প্রয়োজন।
খবর ৭১/ ই: