লালমনিরহাটে তীব্র শৈত্যপ্রবাহে জেলা প্রশাসকের ৩২ হাজার কম্বল বিতরণ

0
867

খবর৭১:আসাদুল ইসলাম সবুজ, লালমনিরহাট প্রতিনিধি: হিমালয়ের পাদদেশ তিস্তার কোল ঘেষে ও সীমান্তবর্তী এলাকা লালমনিরহাট জেলা। জেলার তিস্তা ও ধরলা নদীর তীরবর্তী ৫টি উপজেলার মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। ফলে জেলাজুড়ে তীব্র শৈত্যপ্রবাহে কারণে ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় ৩২ হাজার কম্বল ইতিমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। শীতার্ত মানুষের মাঝে জেলা প্রশাসকের আরও কম্বল বরাদ্দ আসছে। প্রচন্ড ঠান্ডায় অচল হয়ে পড়ছে নদ-নদী তীরবর্তী এই জেলার মানুষ। গত ২/৩দিন থেকে দুপুর হলেই বৃষ্টির মতো গুড়ি গুড়ি পড়ছে কুয়াশা। সারাদিন জুড়ে মিলছে ২/৩ঘন্টা সূর্যের দেখা। এতে কাবু হয়ে পড়ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। দেখা দিচ্ছে ঠান্ডাজনিত নানা রোগ ব্যাধি। মানুষজনের শীতবস্ত্রের অভাবে বাড়ছে দুর্ভোগ।
এলাকাগুলো ঘুরে দেখা যায়, জেলার তিস্তা ও ধরলা নদীর তীরবর্তী এলাকার ‘হত দরিদ্র ছিন্নমূল মানুষগুলো শীতে কাঁপছে। রাতে খড় জ্বলে তাপ নিয়ে শীত থেকে রক্ষার চেষ্টা করে। কারণ শীতবস্ত্র কেনার কোন সামর্থ্য নেই তাদের।’ দিন মজুর আব্দুল জলিল হক বলেন, ‘সারাদিন যা আয় হয় তা দিয়ে ৬ সদস্যের সংসার চালাতেই শেষ। তীব্র শীতে কষ্ট পেলেও শীতের কাপড় কেনার টাকা নেই।’ কৃষক বাবু মিয়া জানান, ‘ঠান্ডা ও বাতাসের কারণে মাঠে কৃষি কাজ করা যাচ্ছে না।’ তীব্র শৈত্যপ্রবাহে শনিবার রাতে (৬জানুয়ারী) সদরের মোগলহাট ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় শীতার্ত মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ। ওই সময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়শ্রী রায় ও মোগলহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব। এ ব্যাপারে লালমনিরহাট জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার সুজাউদ্দৌলা জানান, ‘জেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় শীতবস্ত্র হিসাবে এ পর্যন্ত ৩২ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আরও কম্বল বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে, আশাকরি দুই-একদিনের মধ্যে পাওয়া যাবে।’

খবর৭১/জি:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here