খবর৭১: এবার আরব বাংলাদেশ ব্যাংকের (এবি) চেয়ারম্যান এম এ আউয়াল ও পরিচালক বি. বি. সাহা রায়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। ২০ মিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে জন্য তাদেরকে তলব করা হয়েছে।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে তলব করে চিঠি দিয়েছে। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য এসব তথ্য জানান। দুদকের চিঠিতে তাদের আগামীকাল ৮ জানুয়ারি (সোমবার) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
একই ঘটনায় গত ২৮ ও ৩১ ডিসেম্বর ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হক ও সাবেক দুই ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ৪ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক। এছাড়া অাজ রবিবার (০৭ জানুয়ারি) জিজ্ঞাসাবাদ করছে ব্যাংকটির ৬ পরিচালক ও এক ব্যবসায়ীকে।
অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন এবং সহকারি পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
এদিকে এ ঘটনায় ব্যাংকটি ১৬ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার চিঠি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সংযুক্ত আরব আমরাত ২০ মিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগের সঙ্গে ওই সকল কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্টতার প্রাথমিক তথ্য-প্রমাণ পাওয়ায় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের নিকট দুদক ওই চিঠি দিয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে দুদক সূত্রে জানা যায়, পিজিএফ নামের দুবাইভিত্তিক একটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে ২০ মিলিয়ন ডলার ঋণ হিসেবে দেয়ার কথা বললেও ওই কোম্পানির কোনো কর্মকর্তাদের নাম বা পরিচয় কাগজপত্রে দেখাতে পারেনি এবি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। বরং ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ওই টাকা ব্যক্তিগত হিসাবে স্থানান্তর করেছে। তিন কিস্তিতে ওই টাকা দুবাই যাওয়ার পর ব্যাংক হিসাব বন্ধ করে দেয় প্রতারক চক্র।
পরবর্তীকালে যার কোনো তথ্য এবি ব্যাংকের নিকট নেই। ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে খুররাম ও আবদুস সামাদ নামের দুই ব্যক্তি মধ্যস্থতাকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে। এ ছাড়া দুদক ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ও ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তার একাধিকবার দুবাই যাতায়াতের প্রমাণ পেয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২১ ডিসেম্বর এবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হক, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম আহমেদ ও পরিচালক ব্যারিস্টার ফাহিমুল হক পদত্যাগ করেন।
খবর৭১/জি: