খবর৭১: দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য সার্বিক উৎপাদন বৃদ্ধিতে আরো কর্মসংস্থান সৃষ্টি প্রয়োজন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, শিল্প কারখানাগুলো কি তরুণ ও নতুন গ্রাজুয়েটদের সম্পৃক্ত করতে পারছে?
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যমতে, গত অর্থবছরে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল সাত দশমিক ২৮ শতাংশ। বর্তমান অর্থবছরে সরকার এই হার নির্ধারণ করেছে সাত দশমিক ৪০ শতাংশ। ২০১৩ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে দেশে সৃষ্টি হয়েছে ১৪ লাখ কর্মসংস্থান, যেখানে ২০১০ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে এই সংখ্যা ছিল ৪০ লাখ। অর্থাৎ, তিন বছরে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির সংখ্যা কমেছে ২৬ লাখ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ধরে রাখতে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য নতুন নতুন দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণের প্রতি মনোযোগ দেয়াকে প্রাধান্য দেয়া উচিত বাংলাদেশের।
বাণিজ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০১৭ সালে কর্মসংস্থান সৃষ্টি কমে যাওয়ায় বেসরকারি বিনিয়োগে একরকম অচলাবস্থা চলছে।
উৎপাদনশীলতা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সরকারি ও বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন তারা। জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে এটা অপরিহার্য বলেও মনে করেন বিশ্লেষকরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘একজন ব্যবসায়ী হিসেবে আমার আগ্রহ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির দিকে। ঋণ প্রাপ্তি ও ইউটিলিটি সেবাসহ আরো কিছু কারণে এটা সম্ভব হচ্ছে না।’ বর্তমানে তার প্রতিষ্ঠানে চার হাজার লোক কর্মরত।
এই ব্যবসায়ী আরো জানান, এর বাইরে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার ভয় আছে। দেশী বিদেশী নতুন বিনিয়োগ এই ভয়েও আটকে আছে।
অর্থনীতি বিশ্লেষণ সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) জানিয়েছে, সাত দশমিক ৪০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনে বেসরকারি খাতে বাংলাদেশের আরো ছয় হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ দরকার।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) পরিচালক আহসান এইচ মানসুর বলেন, ‘জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে ব্যাপক হারে দেশী বিদেশী বেসরকারি বিনিয়োগ দরকার বাংলাদেশের।’
খবর৭১/এস;