পাটজাত পণ্য রপ্তানি: আয় বৃদ্ধি ২১ শতাংশ

0
717

খবর৭১: ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস অর্থাৎ জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে পাট ও পাটজাত খাতের পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৫৭ কোটি ৪০ লাখ ডলার। যা গেলো অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২১ দশমিক ৪৮ শতাংশ বেশি। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সবশেষ প্রতিবেদন বিশ্লেষণে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে কাঁচা পাট রপ্তানিতে আয় হয়েছে আট কোটি ২৭ লাখ ডলার। একই সময়ে পাটের সুতা ও কুণ্ডলী রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৩৬ কোটি মার্কিন ডলার এবং পাটের বস্তা ও ব্যাগ রপ্তানিতে আয় হয়েছে আট কোটি ১৯ লাখ ডলার। এছাড়া অন্যান্য পাটজাত পণ্য থেকে এসেছে চার কোটি ৯০ লাখ ডলারের সম পরিমাণ অর্থ।

উল্লেখ্য, মিশর, সিরিয়া, তুরস্ক, ইরানসহ বিভিন্ন দেশে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় পাটজাত দ্রব্যের প্রচুর চাহিদা আছে।
ইপিবির প্রতিবেদন মতে, জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে পাট ও পাটজাত পণ্য থেকে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৫০ কোটি ২৮ লাখ ডলার। কিন্তু দেখা যায়, ছয় মাস শেষে বিদেশে পাট রপ্তানি বেড়েছে প্রায় সাত কোটি ডলারের বা ১৪ দশমিক ১৫ শতাংশ।

এই খাতের বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দেশের অচল পাটকলগুলো পুনরায় চালুর মধ্য দিয়ে পাটশিল্পের বিকাশ আবার সম্ভব। এক্ষেত্রে সরকারিভাবে সহযোগিতার পাশাপাশি প্রান্তিক পর্যায় অর্থাৎ কৃষক থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী মহল পর্যন্ত সচেতনতা সৃষ্টি ও পাটশিল্প বিকাশে তাদের মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে।

পাটপণ্যের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি ও পাটশিল্পের উন্নয়নে কাজ করা নাসিমূল আহসান বলেন, বিশ্ববাজারে পাটপণ্যের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে পাটশিল্প নিয়ে আমাদেরকে নতুন করে ভাবতে হবে। বহুমুখী পাটপণ্যের গুনগত মান, দেশ ও দেশের বাইরে এর ব্র্যান্ডিং ও জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির জন্য কাজ করতে হবে। দেশের সব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পাটপণ্যের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে এগিয়ে আসলে পাটশিল্প খুব দ্রুত সামনে এগিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের অনেকেই জানে না- কিভাবে রপ্তানি করতে হয়। পাট রপ্তানি বাড়াতে হলে তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। সরকারকে নির্দেশনা দিতে হবে। সেইসঙ্গে কৃষকরা যাতে পাটের ন্যায্য মূল্য পায়, সে বিষয়েও উদ্যোগ নিতে হবে।
খবর৭১/জি:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here