খবর ৭১:রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না হলে দৈনন্দিন জীবনে তা প্রকাশিত হবে। এ ধরনের কয়েকটি লক্ষণ নিয়েই আজকের আয়োজন।
এসব লক্ষণ কারো সঙ্গে মিলে গেলেও দুশ্চিন্তার খুব একটা কারণ নেই। প্রতি রাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম হলেই এসব সমস্যা দূর হওয়ার কথা।
সব সময় ক্ষুধা
ঘুম কম হলে ক্ষুধা বেড়ে যাবে। এর কারণ হলো, ঘুম কম হলে মস্তিষ্ক পর্যাপ্ত উদ্যম পায় না। আর এই উদ্যম খাবারের মাধ্যমে পূরণের চেষ্টা করে দেহ।
ওজন বৃদ্ধি
পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। এ সময় মুখরোচক ও উচ্চ ক্যালরির খাবারের প্রতি দেহের আকর্ষণ বাড়ে।
আবেগপ্রবণ
রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না হলে দেহের হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয় এবং আবেগের মাত্রা বেড়ে যায়। এতে অনেকেই সঠিকভাবে আবেগের প্রকাশ করতে পারেন না এবং অপ্রাসঙ্গিক বা অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা বলেন।
স্মৃতিশক্তি লোপ
ঘুমের সময় মস্তিষ্ক দিনের স্মৃতিগুলো গুছিয়ে রাখে। রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না হলে মস্তিষ্ক এ কাজটি ঠিকঠাক সম্পন্ন করতে পারে না। ফলে প্রয়োজনীয় তথ্য মস্তিষ্কে সময়মতো পাওয়া যায় না।
সিদ্ধান্ত গ্রহণে সমস্যা
পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে মস্তিষ্ক সঠিকভাবে যুক্তির কাজগুলো করতে পারে না। এতে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সমস্যা তৈরি হয়। অনেক সময় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভব হলেও তাতে প্রচুর সময় নষ্ট হয়।
দক্ষতা হ্রাস
কোনো বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের জন্য সে বিষয়ের প্রতি মনোযোগ বাড়ানো প্রয়োজন। কিন্তু পর্যাপ্ত না ঘুমালে নির্দিষ্ট কোনো স্থানে মনোযোগ দেওয়া কঠিন হবে। এতে দক্ষতাও কমে যাবে।
অসুস্থতা বৃদ্ধি
ঘুমের সঙ্গে দেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে দেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যাবে। এতে দেহের সংক্রমণের আশঙ্কাও বেড়ে যায়।
খবর ৭১/ এস: