রাকিব হাসান কলাপাড়া:পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশের পরে ১৩০ নম্বর ভিজিডি কার্ডধারী চৌধুরীপাড়া গ্রামের মাহমুদা বেগমকে দুই মাসের আতপ চাল দেয়া হয়েছে। বাকি আট মাসের চাল এখনও জোটেনি। কিন্তু ছোনখোলা গ্রামের ৪৫ নম্বর কার্ডধারী আকলিমা বেগমের কপালে এক ছটাকও জোটেনি।
ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান-মেম্বারদের কাছে বহুবার ধর্ণা দিয়েছেন তিনি। কিন্তু কোন সমাধান পাচ্ছেন না। এভাবে প্রধানমন্ত্রীর নেয়া যুগান্তকারী পদক্ষেপ দরিদ্র মানুষের খাদ্য নিরপত্তা বেস্টনীর কার্যক্রমকে তৃণমূলে বিতর্কিত করা হচ্ছে। প্রতারিত এই দুই পরিবারের নামের চাল লোপাট হয়ে গেল। ভিজিডি চক্র ২০১৭-২০১৮ এর অনুমোদিত তালিকায় এই দুই মহিলার নামে ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত চাল উত্তোলন দেখানো হয়েছে। কিন্তু তাদের ঘরে এক ছটাকও পৌছেনি। রিপোর্ট প্রকাশের পরে দৌড়ঝাপ। একজনে দুই মাসেরটা পেয়েছেন। অন্যজন কিছুই পায়নি। পায়নি কার্ডটি পর্যন্ত। চরম অব্যবস্থাপনা দেখার জন্য মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তাছলিমা আখতারকে বলা হয়েছিল। কিন্তু কোন প্রতিকার পায়নি তারা।
লালুয়া ইউনিয়নের এমন অব্যবস্থাপনা চলছে। ৩২৬ দরিদ্র মহিলার ৩০ কেজি করে চাল পাওয়ার কথা। অনেকে মৌখিকভাবে সাগরকন্যাকে জানালেন, সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করলে আরও অনেক অনিয়ম বের হয়ে আসবে। বহু দরিদ্র মানুষ আক্ষেপ করে বলেন, ‘ প্রধানমন্ত্রী দেয়- কিন্তু মোরা পাইনা।’
এই ইউনিয়নে অক্টোবর-২০১৭ মাস পর্যন্ত ভিজিডির চাল বিতরণ দেখানো হয়েছে। লালুয়া ইউনিয়নের অনুমোদিত ভিজিডি (২০১৭-২০১৮) চক্রের ৩২৬ দরিদ্র মহিলার ৩০ কেজি করে চাল পাওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া টাকা না দেয়ায় সঠিকভাবে প্রকৃত দরিদ্রদের এ কর্মসূচির আওতায় আনা হয়নি। অভিযোগ রয়েছে বাস্তবে একজনের নামের কার্ডে আরেকজনের ছবি লাগিয়ে চাল আত্মসাত করা হচ্ছে।
গ্রাম ওয়ারি তালিকা যাচাই-বাছাই করলে এই ভিজিডি কর্মসূচির এন্তার দুর্নীতি বের হয়ে আসবে। মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফের জানালেন তিনি তদন্ত করে বিষয়টি দেখবেন। ইউপি চেয়ারম্যান মীর তারিকুজ্জামান তারা জানান, তিনি বিষয়টি নিষ্পত্তি করছেন। ওই ইউনিয়নের তদারকি কর্মকর্তা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আরিফুজ্জামান জানান, তিনি সরেজমিনে তদন্ত করে দেখছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তানভীর রহমান জানান, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।