খবর৭১:শেখ আফিল উদ্দিন বলেন, মানুষের জীবনকে গড়তে হলে সবার আগে প্রয়োজন লক্ষ্য নির্ধারণ করা। যে লক্ষ্য ছাড়া এপর্যন্ত পৃথিবীতে কেউ বড় হতে পারেনি এবং ভবিষ্যতেও পারবে না। যা নির্ধারণ করে পথ চললে একদিন না একদিন প্রত্যেক মানুষের জীবনে সফলতা বয়ে আসবে। শনিবার সকালে শার্শার গোগা কালিয়ানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তিতে সূবর্ণ রজত জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষ্যে আনন্দ শোভাযাত্রা আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধাণ অতিথি হিসেবে একথা বলেন তিনি।
গোগা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ এঁর সভাপতিত্বে শেখ আফিল উদ্দিন এমপি আরো বলেন, পানির যেমন স্বাদ-গন্ধ নেই তারপরেও প্রত্যেক মানুষকে বেঁচে থাকার জন্য পানি পান করতে হয়। তেমনি লেখাপড়ার স্বাদ বিরক্তিকর মনে হলেও এ যাবত যারা বড় হয়েছেনে তাদের মূলে রয়েছে শিক্ষা। যারাই স্বাদ গন্ধকে উপেক্ষা করে লক্ষ্য নির্ধারণ করে লেখাপড়া করেছেন তারা আজ দেশের নেতৃত্বসহ বড় বড় আসন অলঙ্কৃত করেছেন। যারা গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে তাদের জন্য অধীর আগ্রহে চেয়ে আছে জাতী, দেশ তথা বিশ্ব। তারাই হবে আগামী দিনের কর্ণধর।
এ সময় তিনি অনেক মনীষি মহামানবের জীবন বৃত্তান্ত তুলে ধরেন।
সাংসদ আফিল উদ্দিন বলেন, আমার রাজনৈতিক জীবনে কাউকে কোনদিন ছোট করে দেখেনি। এমপি হয়েছি মানুষের কল্যাণের জন্য। যেখানেই বক্তব্য রাখি তার ৯০ ভাগ কথা বলি কোমল মতী ছোট ছোট সোনামনীদের জন্য। তার একটিই অর্থ, যদি আমার একটি কথাও কোন শিক্ষার্থীর জীবনের লক্ষ্য নিধারণ করতে সহযোগিতা করে, যদি কেউ লক্ষ্য নিয়ে লেখাপড়া করে, মানুষের মতো মানুষ হয়, সেদিনই মনে করব আমার এমপি জীবন স্বার্থক হয়েছে। তিনি আরো বলেন, জাতীর জনকের কণ্যা প্রধাণ মন্ত্রী শেখ হাসিনা যেদিন থেকে ক্ষমতায় এসেছেন সেদিনই ভেবেছেন লেখাপড়া ছাড়া কোন জাতী এ পর্যন্ত উন্নতি লাভ করতে পারেনি এবং ভবিষ্যতেও পারবে না। তাইতো তিনি সবার আগে শিক্ষাখাতকে গুরুত্ব সহকারে দেখেছেন। শিক্ষায় এনেছেন আমূল পরিবর্তন। তারই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে একাত্মতা প্রকাশ করেছি। আমার সকল পরিকল্পনা শিক্ষাকে জাগিয়ে তোলার জন্য। আজ শার্শার প্রত্যেক বাড়ির ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করছে। ইতিমধ্যে অনেক ছাত্রছাত্রী দেশের বিভিন্ন শিক্ষালয়ে লক্ষ্য নিয়েই লেখাপড়া করছে। অনেকে আবার লেখাপড়া শেষ করে ভালো অবস্থানে চলে এসেছে। তাই, “যতোদিন বাঁচব” “শিক্ষার উপর কাজ করে যাব”।
এ অনুষ্ঠানের পূর্বে তিনি গোগা কালিয়ানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নব নির্মিত ভবন ও উক্ত স্কুল প্রাঙ্গণে নব নির্মিত কেন্দ্রীয় মহীদ মিনারের উদ্বোধন এবং দোয়া করেন।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শাশা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নুরুজ্জামান, গোগা কালিয়ানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়র প্রাক্তন প্রধাণ শিক্ষক আলহাজ্ব হযরত আলী, আলহাজ্ব রেজাউনুল হক, আলহাজ্ব নুরুল হক, রাশেদ আলী ও বতর্মান প্রধাণ শিক্ষক মুনছুর আলী।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, গোগা ইউনিয়ন আওয়মীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক রহমত আলী, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন, ছাত্রলীগের সভাপতি রায়হান কবির রানা, গোগা ইউপি সদস্য নেছার আলী, তবিবর রহমান, বাবুল হোসেন, মনিরুজ্জামান, মিজানুর রহমান, সামছুজ্জামান বুলু, ফারুখ হোসেন, আব্দুস সালাম, কামরুজ্জামানসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা বৃন্দ, এলাকার সূধীবৃন্দ, অবিভাবক, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্রছাত্রীরা।
খবর৭১/জি: