খবর৭১:পশুখাদ্য কেলেঙ্কারীতে ইতিমধ্যেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন বিহারের আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ যাদব। ৩ জানুয়ারি সাজা ঘোষণা হওয়া পর্যন্ত আদালতের নির্দেশে তাঁকে রাখা হয়েছে রাঁচীর হটোয়ার জেলে।
সেখানে আপার ডিভিশন সেলে রয়েছেন বিহারের প্রাক্তন এই মুখ্যমন্ত্রী। তবে, শীতের মধ্যে জেলে কেমন রয়েছেন তিনি? কতটা সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন এই ভিভিআইপি বন্দি?
ঝাড়খণ্ডের প্রথম সারির একটি সংবাদপত্র প্রভাত খবরের প্রতিবেদন অনুসারে, জেলে থাকলেও লালুর প্রতিপত্তিতে তেমন প্রভাব পড়েনি। শুধুমাত্র ‘কয়েদি’ শব্দটাই যা বসেছে তাঁর নামের আগে। বাকি সব কিছুতে আগের মতোই দাপুটে আরজেডি প্রধান।
কার্যত ছুটির মেজাজে থাকা লালু প্রসাদের দিন শুরু হচ্ছে চা ও খবরের কাগজ নিয়ে। সঙ্গে থাকছে তাঁর পছন্দের টোস্ট বিস্কুট। এ ছাড়া কখনো সুইট কর্ন, মটরসুটি ভাজা, আবার কখনো পালং শাক, বেগুনভাজা ও কাঁচা মরিচ। সকালে ও দুপুরে খাবারের তালিকায় থাকছে সুগন্ধি চালের ভাত, অড়হড় ডাল ও সবজি।
এ ছাড়াও বাড়ি থেকে প্রতিদিনই আসছে সংকট মোচন মন্দিরের প্রসাদ।
জেলে তাঁর জন্য বরাদ্দ ঘরে টিভির জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আর্জি জানানো হয়েছিল। আর্জি মেনে এসেছে টিভিও। ওই প্রতিবেদন অনুসারে, দিনের অধিকাংশ সময় টিভিতে খবর দেখছেন তিনি। বাকি সময়, ওই জেলেই একাধিক মামলায় বন্দি সাংসদ আরকে রানা, রাজনীতিবিদ জগদীশ শর্মা, সৌনা লাকরা, রাজা পিটার ও কমল কিশোর ভগতের সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা দিচ্ছেন আরজেডি প্রধান। তাঁদের সঙ্গে বিহার ও ঝাড়খণ্ডের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, কেন্দ্রীয় রাজানীতি থেকে খেলা, সব নিয়েই রীতিমতো আলোচনা চলছে তাঁর।
এদিকে, জেলের খুব কাছেই আপার ডিভিশন সেলের মেস। ফলে এই সেলের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের মেস থেকে মাঝেমধ্যেই চলে আসছে নোনতা খাবার। সঙ্গে চা। ফলে, সকাল ও বিকেলের দিকটায় জমে উঠছে আড্ডা।
খবর৭১/জি: