খবর ৭১:শীতের সময় যত ব্যথা আমাদের সবচেয়ে বেশি পীড়া দেয়, তার মধ্যে কাঁধ ব্যথা বা ফ্রোজেন সোল্ডার সবচেয়ে যন্ত্রণাদায়ক।
এ রোগে স্বাভাবিক সময় যেমন হাত বিশ্রামে রাখলে বা আক্রান্ত হাত দিয়ে কোনো কাজ না করলে সাধারণত কোনো ব্যথা অনুভূত হয় না কিন্তু ব্যথাতুর হাত দিয়ে কিছু ধরতে গেলে কাঁধে বিদ্যুৎ চমকের মতো তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়। অনেক রোগী রাতে ঘুমাতে পারেন না।
আক্রান্ত পাশে পাশ ফিরলে হঠাত্ ঘুম ভেঙে যায় এবং গভীর রাতে তীব্র ব্যথা শুরু হয়। একবার ব্যথা শুরু হলে এ ব্যথা আর থামতে চায় না। এমনকি ব্যথার ওষুধও কাজ করে না। রোগীরা গরম পানির শেক, মালিশ ইত্যাদি দিতে থাকেন। এসবেও কাজ হয় না।
ফ্রোজেন সোল্ডারের কারণ : ডায়াবেটিস রোগীদের এ ব্যথা সবচেয়ে বেশি হয়। ভারি কাজ করলে বা অন্য কোনো কারণে কঁাধে সামান্য আঘাত পেলে ধীরে ধীরে কাঁধ জমে যেতে থাকে।
অনেক রোগী প্রাথমিক অবস্থায় ব্যথার ধরন বুঝতে পারেন না। ভাবেন সামান্য ব্যথা এমনিতেই সেরে যাবে। ধীরে ধীরে এ ব্যথা তীব্র থেকে তীব্রতর আকার ধারণ করে এবং এক সময় রোগী পেছনের দিকে হাত নিতে পারেন না; এমনকি জামা পড়তে বা টয়লেটিং করতেও ভীষণ ব্যথা অনুভব করেন।
ডায়াবেটিস ছাড়াও সারভাইক্যাল স্পন্ডাইলোসিস রোগীরা এ রোগের জটিলতা হিসেবে ফ্রোজেন সোল্ডারে আক্রান্ত হতে পারেন।
চিকিত্সা : ডায়াবেটিস থাকলে ইন্ট্রাআর্টিকুলার ইঞ্জেকশন না দেয়াই ভালো। এতে ডায়াবেটিস বেড়ে যায় এবং অনেক ক্ষেত্রেই ব্যথা ভালো হয় না।
উপদেশ : ডায়াবেটিস রোগীরা কঁাধের ব্যথার ব্যাপারে খুব সজাগ থাকুন। যাত্রাপথে গাড়িতে বা বাসায় কোনো কাজ করতে গিয়ে হাতে ঝাঁকুনি খেলে বা আঘাত পেলে এবং এক সপ্তাহের মধ্যে হালকা ব্যথা অনুভব করলে অবহেলা না করে দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযাই আইপিএম চিকিত্সা শুরু করুন।
খবর ৭১/ ই: