স্ত্রীর প্রতারনায় প্রবাসী স্বামী বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে

0
433

জাহিরুল ইসলাম মিলন।।যশোর প্রতিনিধি:
স্ত্রীর প্রতারনার খপ্পরে পড়ে প্রবাসী স্বামী আলতাফ হোসেন এখন বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। এব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদে পারিবারিক আদালতে অভিযোগ করলে বিবাদীপক্ষ হাজির না হওয়ায় বিজ্ঞ আদালতে মামলা করে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
গ্রামের সংবাদ পত্রিকা অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এক লিখিত অভিযোগে আলতাফ হোসেন জানান, গত ২০০৮ সালে ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী বাঁগআচড়ার ৭মাইল এলাকার গোলাম হোসেন বিশ্বাসের কন্যা মোহনা আক্তার সুমাকে বিয়ে করেন। সংসারে অভাব অনটনের কারণে বিয়ের এক বছর পর সিঙ্গাপুরে যায়। এরপর স্ত্রীকে সিঙ্গাপুর নিয়ে ৩/৪ মাস রাখেন। সিঙ্গাপুর স্ত্রী থাকাকালীন ২১ ভরি ওজনের বিভিন্ন স্বর্ণের অলংকার কিনে দিই। সিঙ্গাপুর থাকা অবস্থায় সন্তান সম্ভবা হলে পরে তাকে দেশে পাঠিয়ে দিই এবং বছরে ১/২ বার দেশে এসে বেড়াতে আসি। ইতিমধ্যে আমাদের একটি কন্যা সন্তানের জম্ম হয়। যার বয়স এখন ৪বছর। সিঙ্গাপুরে চাকুরি করা কালীন পর্যায়ক্রমে ৫ বছরে ১০ লক্ষাধিক টাকা পাঠাই স্ত্রীর নামে। সেখানে দীর্ঘ ৫বছর থাকার পর বাড়িতে এসে দেখেন স্ত্রীর চলাফেরা ও ব্যবহার সন্দেহজনক। এছাড়াও আমার স্ত্রী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন ছেলেদেরও সাথে বন্ধুত্বসহ দৈহিক সম্পর্কও গড়ে তোলে। তবুও তাকে নিয়ে সংসার করার মানসে একত্রে বসবাস করতে থাকেন এবং তার বিদেশ থেকে টাকার হিসেব চাইলে স্ত্রী তার সঙ্গে দুব্যর্বহার শুরু করে। হঠাৎ একদিন তার মাতা অসুস্থ্ জানিয়ে পিত্রালয়ে যাবার জন্য বললে আমি সম্মতি দিই। যাবার সময় ঘরে রাখা নগদ ২লাখ টাকা ও ২১ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার নিয়ে চলে যায়। পিত্রালয়ে যেয়ে সে আর সংসারে ফিরে আসবে না বলে জানায়। তার নিয়ে যাওয়া নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও জমি বন্ধক রাখার টাকা ফেরত চাইলে দিবে না বলে পরিষ্কার জানিয়ে দেয়।
তিনি আরো জানান, এ ব্যাপারে মনিরামপুর থানাধীন ঝাপা ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করলে বিবাদী হাজির হয়নি। ইউনিয়ন পরিষদের পরামর্শে বিজ্ঞ আদালতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করি। যাহা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, পিবিআই, যশোরের মাধ্যমে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন মর্মে বিজ্ঞ আদালতে তাদের রিপোর্ট পেশ করেছেন। পুলিশ তদন্তের পর তারা আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে মিথ্যা মাদক মামলায় ডিবি পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করায়। কিন্ত সেটাও মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় তারা আমাকে বিভিন্ন সময়ে হুমকি ধামকি ও মামলা প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে। তাছাড়া আবারও আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। যে কোন সময়ে তারা আমাকে যে কোন ধরনের ক্ষতি করতে পারে। যার ফলে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি আপনাদের মাধ্যমে সঠিক সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালতে যাহাতে সুষ্ঠ বিচার পাইতে পারি তার জন্য আবেদন জানাইতেছি।

খবর ৭১/ ই:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here