মোঃ অালী হাসান,জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ
জয়পুরহাট শহরের বাজারে সকল প্রকার ছোট বড় মাছ, গরু,মহিষ,খাঁসি ও মুরগীর মাংসের মুল্য গত সপ্তাহের তুলনায় হঠাৎ করে চলতি সপ্তাহে কেজি প্রতি ৫০-২০০ টাকা কমলেও অপরির্বতিত রয়েছে পিঁয়াজের মুল্য। পিঁয়াজের মুল্যের এ উর্দ্ধগতির জন্য কিছু অসাধু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উদ্বাসিনতাকে দ্বায়ী মনে করেন জয়পুরহাটের সচেতন নাগরিক। জয়পুরহাট শহরের সবচেয়ে বড় পাইকারি ও খুচরা বাজার হিসাবে পরিচিত নতুনহাট এবং সাহেব বাজার ঘুরে এবং ক্রেতা/বিক্রেতার সাথে কথা বলে জানাযায়- জয়পুরহাট বাজারে দেশী বড় রুই, কাঁতলা,মৃগেল মাছ (৩-৬ কেজি ওজন) বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ২৫০-৩০০ টাকা। যা গত সপ্তাহেও বিক্রি হয়েছে ৩৫০-৫০০ টাকা দরে।
ছোট দেশী মাছের মধ্যে পুঁটি-১১০ টাকা,টেঁংরা-২৮০ ,জাল মাছ(বড়)-২৫০ টাকা,মায়া মাছ-১২০, দেশী কানূচঁ-২০০-২৫০,গুঁচি মাছ-৩০০-৩৫০ টাকা,মাগুর-৩০০- ৩৫০,পঁবা-৩৮০-৪২০, পাঁতাসি মাছ ৪৫০-৫০০ টাকা দরে
বিক্রি হচ্ছে যা গত সপ্তাহের তুলনায় কেজী প্রতি
৫০-২০০ টাকা কম। এদিকে জয়পুরহাট মাংস বাজার ঘুরে জানাযায়-গরুর মাংস ৩৬০-৪০০ টাকা,খাঁসি-৬০০-৬৫০ টাকা, মহিষ-৩৬০,
দেশী মুরগী-৩২০-৩৫০, সোনালী-১৭০-১৮০, বয়লার মুরগীর মাংস ৯০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহ পর্যন্ত গরু-৫০০ টাকা,মহিষ-৪৮০,খাঁসি-৭৫০,দেশী মুরগী-৩৮০-৪০০,সোনালী-২২০,বয়লার
মুরগীর মাংস ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল বলে জানান-সাহেব বাজারের মাংস ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক। ভারত থেকে গরু আমদানী বেড়ে যাওয়ায় দেশী গরুর চাহিদাও কমে গেছে বিধায় গরু ও মহিষের মাংসের মুল্য এখন কিছুটা সহোনীয় পর্যায়ে আছে বলেও
তিনি জানান। আলী আহম্মেদ বিশিষ্ট কাঁচামাল ব্যবসায়ী,জয়পুরহাট জানান-গত এক মাসের মধ্যে দেশী পিঁয়াজ প্রতি কেজি-৭০-৮৫ টাকা এবং ভারত থেকে আমদানীকৃত পিঁয়াজ ৫৫-৭০ টাকা দরে উঁঠানামা করছে জয়পুরহাট
খুচরা বাজারে।আমদানী ও আমাদের দেশী পিঁয়াজের সরবরাহ যথেষ্ট আছে বলেও তিনি জানান। এক প্রশ্নের জবাবে-আমদানী ও উৎপাদন যথেষ্ট থাকা সত্বেও পিঁয়াজের মুল্য অপরিবর্তিত থাকার পিছনে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজারের
চাহিদার চেয়ে সরবরাহ কমিয়ে দিয়ে গুদামজাত করছে বলে তিনি জানান। হিঁলি স্থল বন্দর-সিএন্ডএফ-ব্যবসায়ী ফিরোজ জানান-
পাইকারি বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে ভারত থেকে আমদানীকৃত পিঁয়াজের মুল্য কমেছে কেজি প্রতি ১০-১২ টাকা। সে হিসাবে খুচরা বাজারে পিঁয়াজের মুল্য কমে যাওয়ার কথা। কিন্তু অপরিবর্তিত যদি থাকে তাহলে এর পিছে সিন্ডিকেটকেই দ্বায়ী মনে
করছেন তিনি। নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক এমন কয়েকজন খুচরা ব্যবসায়ীর মতে-একমাত্র সিন্ডিকেটই পিঁয়াজের মুল্য উর্দ্ধগতির
জন্য দ্বায়ী। জয়পুরহাটের সচেতন ক্রেতা ও বিক্রেতার মতে- সিন্ডিকেটের সাথে কিছু অসৎ বাজার মনিটরিং কর্মকর্তাও পিঁয়াজের মুল্য উর্দ্ধগতির জন্য দ্বায়ী। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সৎ ও নিষ্ঠার সাথে বাজার পরিদর্শন ও দ্বায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় শাস্তির ব্যবস্থা করা ও জয়পুরহাট পৌর মেয়রের কাছে এ ব্যপারে
প্রয়োজনীয় প্রর্দক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানান- জয়পুরহাট পৌরসভার সচেতন নাগরিক ও সৎ ব্যবসায়ীগন। তবেই সম্ভ্যব জয়পুরহাট খুচরা বাজারে অন্যান্য নিত্য
প্রয়োজনীয় জিনিসের মতো পিঁয়াজের মুল্য স্বাভাবিক রাখা-বলেও মনে করেন তাঁরা।
খবর ৭১/এস: