খবর৭১:শেখ দীন মাহমুদ,পাইকগাছা(খুলনা)প্রতিনিধি:
পাইকগাছার মানিকতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিভা মৃধা নামে এক সহকারী শিক্ষক গত প্রায় ২ বছর ধরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন। এর আগেও অনুপস্থিত থেকে কতৃপক্ষকে ম্যানেজ করে বেতন-ভাতা তুলেছিলেন বছর তিনেক। তবে বিষয়টি ব্যাপক জানাজানির পর সর্বশেষ গত ৩ ফেব্রুয়ারী থেকে তার বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন কতৃপক্ষ। যোগদানের পর ২-১ বছর নিয়মিত থাকলেও পরবর্তীতে অনিয়মিত হয়ে পড়েন শিক্ষক প্রতিভা মৃধা। খবর পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের নির্দেশে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা খালেদা খাতুন প্রতিভা মৃধার উপস্থিতি সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন জমা দিলে তা প্রকাশ্যে বেরিয়ে এসছে। এদিকে প্রায় দু’বছর ধরে শিক্ষকের অনুপস্থিতির কারণে মারাত্নকভাবে ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম।
এলাকাবাসীর অভিযোগ ও প্রধান শিক্ষকের প্রতিবেদন থেকে জানাযায়,প্রতিভা মৃধা গত ১৬/০৯/২০১০ তারিখে সহকারী শিক্ষক হিসেবে উপজেলার ২৬ নং মানিকতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। যোগদানের প্রথম দিকে তিনি কর্মস্থলে নিয়মিত উপস্থিত থাকলেও ২০১৪ সাল থেকে অনিয়মিত হয়ে পড়েন। ১৮/০৮/২০১৪ থেকে ৩১/০৮/২০১৪ পর্যন্ত ১৪ দিনের চিকিৎসা ছুটি নেন। এরপর ০১/০৯/২০১৪ হতে ২৪/০৭/২০১৫ পর্যন্ত কারো কাছ থেকে কোন প্রকার অনুমতি না নিয়েই অনুপস্থিত থাকেন। তবে তৎকালীন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নরেন্দ্রনাথ মৈত্রের কাছ থেকে অনুপস্থিতির ঐ দীর্ঘ সময়কাল তিনি চিকিৎসা ছুটি হিসেবে পাশ করিয়ে গত ২০১৫ সালের ২৫ জুলাই কর্মস্থলে যোগদান করেন। এরপর মাত্র দুই দিন কর্মরত থেকে ২৭/০৭/২০১৫ হতে ২১/০১/২০১৬ পর্যন্ত মাতৃকালীন ছুটি নেন। ছুটি শেষে ২৩/০১/২০১৬ তারিখে যোগদান করেন। এরপর এক দিন মৌখিক ছুটি নিলেও গত ০৩/০২/২০১৬ ইং তারিখ হতে অদ্যাবধি প্রায় ২১ মাস যাবত তিনি আর কর্মস্থলে যোগদান করেননি। তবে ঐদিন থেকে তার বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে।
এলাকাবাসী,শিক্ষক ও অভিভাবকরা জানান,গত প্রায় দু’বছর যাবৎ বিদ্যালয়ে অনুপস্থিতির কারণে সেখানকার শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্নকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
অন্যদিকে ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারীর আগ পর্যন্ত বিভিন্ন সময় অনুপস্থিত থেকে বৈধ-অবৈধ ছুটি দেখিয়ে তিনি বেতন-ভাতা উত্তোলন করলেও চিকিৎসা ও মাতৃকালীন ছুটির কোন কাগজপত্র তিনি বিদ্যালয়ে জমা দেননি।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক তাকে কারণ দর্শানো পত্র প্রদান করে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও শিক্ষক প্রতিভার সাথে যোগাযোগ করতে পারেননি। সর্বশেষ বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ স ম বাবর আলী প্রধান শিক্ষককে সহকারী শিক্ষক প্রতিভা মৃধার অনুপস্থিত সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য নির্দেশ দেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খালেদা খাতুন গত রবিবার ঐ শিক্ষকের অনুপস্থিতির ব্যাপারটি তুলে ধরে ঐ প্রতিবেদন দাখিল করেন।
খবর৭১/জি: