রুমি নোমান, ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বিভিন্ন অনুষদের স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধাতালিকায় প্রথম স্থান(ফ্যাকাল্টি ফাস্ট) অধিকারী প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীবৃন্দ আসন্ন ইবির চতুর্থ সমাবর্তনে নিবন্ধিত গ্রাজুয়েট থাকার সত্বেও রাষ্ট্রপতি প্রদত্ত স্বর্ণপদক না পাওয়ায় স্বর্ণপদক ও মূল সার্টিফিকেট হাতে পাওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে। আজ বুধবার বেলা আড়ায়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেস কর্ণারে সাংবাদিকদের সাথে এই সংবাদ সম্মেলন করে তারা ।
এসময় তারা বলেন সমাবর্তনকে ঘিরে আনন্দ উদযাপনের অন্যতম উপলক্ষ্য হল বিশবিদ্যালয়ের মাননীয় আচার্য মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক মেধাবী শিক্ষার্থীদের মেধার স্বীকৃতি স্বরূপ সনদ ও পদক বিতরণ। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশবিদ্যালয়, রাজশাহী বিশবিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশবিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশবিদ্যালয়সহ দেশের সকল পাবলিক বিশবিদ্যালয় এমনকি বহিঃবিশ্বেও এটি প্রতিষ্ঠিত নীতি যে, গ্রাজুয়েটরা তাদের স্নাতক পর্যায়ের ফলাফলের ভিত্তিতে মেধার স্বীকৃতি স্বরূপ মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক সনদ ও পদক পেয়ে থাকেন। তবে কোনো কোনো বিশবিদ্যালয়ে স্নাতক পর্যায়ের ফলাফলের পাশাপাশি সম্পূর্ণ আলাদা করে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ফলাফলের ভিত্তিতেও মেধার স্বীকৃতি স্বরূপ সনদ ও পদক প্রদান করা হয়ে থাকে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের সাথে আমরা লক্ষ্য করছি, ইসলামী বিশবিদ্যালয় প্রশাসন আসন্ন সমাবর্তনে শুধুমাত্র স্নাতকোওর পর্যায়ের ফলাফলের উপর ভিত্তি করে মেধাবীদের মাঝে সনদ ও পদক বিতরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন, যা একপাক্ষিক এবং অযৌক্তিক। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ ধরণের সিদ্ধান্তে আমরা ভীষণভাবে ব্যথিত, মর্মাহত ও আশাহত। উল্লেখ্যে যে, সমাবর্তনে অংশগ্রহণকারী গ্রাজুয়েট, পোস্ট গ্রাজুয়েট, এমফিল ও পিএইচ ডিগ্রিধারীদের তালিকা বিশবিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হলেও এখন পর্যন্ত সম্ভাব্য পদক প্রাপ্তদের কোনো তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়নি।
এসমসয় তারা দাবি সমূহ উল্লেখ করেন। এগুলো হলো, পদক সংক্রান্ত উপ-কমিটি কর্তৃক গৃহীত পদক প্রদান সংক্রান্ত নীতিমালা পুনর্বিবেচনা করত স্নাতক পর্যায়ের ফলাফলের উপর ভিত্তি করে মেধাবী শিক্ষার্থীদের পদক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হোক এবং অনতিবিলম্বে বিশবিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে সম্ভাব্য পদকপ্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হোক।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ইবি প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসেন রুদ্র, সাধারণ সম্পাদক আসিফ খানসহ উপস্থিত ইবি প্রেসক্লাব ও ইবিসাসের সাংবাদিকবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে গ্রাজুয়েটদের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রভাষক মিফতাহুল হাসান সান, সিথুন ওয়াজিদুর রহমান, ফাহাদ।
খবর ৭১/ ই: