খবর ৭১:জন্মের পর শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ানো যেমনি জরুরি আবার বাচ্চা যখন আস্তে আস্তে বড় হয় এবং স্কুলে ভর্তি হওয়ার সময় হয়ে আসে- ওই সময়ে বুকের দুধ বন্ধ করা জরুরি হয়ে পড়ে।কিন্তু শিশুদের বুকের দুধ বন্ধে অনেক মা-ই হিমশিম খান।আবার বাচ্চারা মানতে চায় না, কান্নাও করে। জন্মের পর শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য আপনি যেমন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়তেন আবার বন্ধের সময়ও তাড়াহুড়া শুরু করে দেন। কিন্তু মনে রাখবেন বুকের দুধ ছাড়াতে তাড়াহুড়া নয়। জন্মের পর বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য বাচ্চাকে অভ্যস্ত করতে সময় লাগে আবার ছাড়াতে সময় নিতে হবে। কারণ এটি অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। তবে আপনার শিশু যদি সহনশীল হয় তবে বেশি সময় লাগবে না। আর যদি একটু বেশিই জেদি হয় তবে অবশ্যই সময় গুনতে হবে। তবে শিশুদের ২ বছরের বেশি সময় ধরে বুকের দুধ খাওয়ানো উচিত নয়।
আসুন জেনে নেই শিশুকে বুকের দুধ ছাড়াতে কী করবেন।
শিশুকে বোঝাতে হবে
শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য যে কাজটি করতে হবে- সেটি হলো তাকে বোঝাতে হবে। তাকে অন্য বাচ্চাদের উদাহরণ দেয়া যেতে পারে।
শিশুর ইচ্ছাকে গুরুত্ব দিন
শিশু দুধ খেতে চায় তাহলে তাকে তা থেকে বিরত রাখাটা একটু কঠিনই হতে পারে।তাই না চাইলে নিজে থেকে খাওয়ার জন্য তাগিদ দেবেন না।এছাড়া শিশু কখনও যেন তৃষ্ণার্ত বা ক্ষুধার্থ না থাকে। তাহলেই সে আর বুকের দুধ খেতে চাইবে না।
বুকের দুধের বদলে অন্য কিছু খাওয়ান
বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ করার জন্য শিশুটির পাশে তার প্রিয় কম্বল, বই বা খেলনাটি নিয়ে বসুন। এবং দিনের যে কোনো সময়েই শিশুর পছন্দ অনুযায়ী অন্য খাবার খাওয়াতে অভ্যস্ত করুন।
রুটিন পরিবর্তন করুন
শিশুর খাবারে রুটিন পরিবর্তন করুন। তার রুচি ও পছন্দ অনুযায়ী খাবার দিন। এছাড়া
আগে যে সময়ে বা যে স্থানে বসে দুধ খাওয়াতেন তা পরিবর্তন করুন।
শিশুকে দিয়েই দুধ খাওয়ানো বন্ধ করান
একটু বেড়ে ওঠা শিশুদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো কৌশল হলো, তাকে নিজে নিজেই বুকের দুধ খাওয়া বন্ধ করার সুযোগ করে দেয়া। কারণ অল্পতেই বেড়ে ওঠা শিশুরা সহজেই বুকের দুধ খাওয়ায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।
খবর ৭১/ ই: