খবর৭১: ৪৪ দিন পরে ফিরে আসা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক মোবাশ্বার হাসান সিজার জানিয়েছেন, তাকে অপহরণ করা হয়েছিল। এতদিন তাকে একটি অন্ধকার কক্ষে রাখা হয়। তিনি কোনো আলো দেখতে পাননি। অপহরণকারীরা তার কাছে টাকা চাইত বলেও জানান তিনি। তবে কারা কী কারণে তাকে অপহরণ করেছিল এ সম্পর্কে তিনি কিছু বলতে পারেননি।
শুক্রবার সকালে বনশ্রীর বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক বৃহস্পতিবার রাত একটার দিকে বাসায় ফিরে আসেন। তার বাবা মোতাহার হোসেন জানান, রাতে অপরিচিত একটি নাম্বার থেকে তার কাছে ফোন আসে। সিজার নিজেই কথা বলেন। সিজার জানান, একটি সিএনজি অটোরিকশা দিয়ে তিনি আসছেন, কেউ যেন নিচে নেমে ভাড়া পরিশোধ করেন। পরে স্বজনরা বাসার নিচ থেকে তাকে নিয়ে আসেন।
কীভাবে তাকে অপহরণ করা হয়েছিল এর বর্ণনা দিয়ে সিজার বলেন, আমি ঘটনার দিন ইউএনডিপি’র একটি প্রোগ্রাম শেষে বাসায় ফিরছিলাম। যতটুকু মনে পড়ে আমি রোকেয়া সরনির দিকে উবারের একটি গাড়িতে করে যাচ্ছিলাম। এসময় আমি আমার ফোনটি ব্রাউজ করছিলাম। ওইসময়ে একজন আমার গাড়িটি থামায় এবং বলে আমার গাড়িটি চোরাই গাড়ি। তুমি নামো। এরপর আমি নেমে যাই। নামার পর কে যেন পেছন দিক থেকে আমার চোখে মলম লাগিয়ে দেয়, কিছু একটা দিয়ে পেছন দিক থেকে আমার মুখে চেপে ধরে। এরপর আমি সেন্সলেস হয়ে যাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক বলেন, পরদিন আমি যখন জ্ঞান ফিরে পাই তখন উঠে দেখি আমার হাত পেছন দিক থেকে বাঁধা। ময়লা তোষক ও জানালা বাইরে থেকে সিলগালা করে রাখা। ওই সময়ে শুনছিলাম চার পাঁচজন পাশের রুম থেকে কথা বলছিল। সেখানেই ছিলাম, দিনের আলো দেখতে পাইনি। অনেকদিন পর দিনের আলো দেখছি।
কীভাবে ছাড়া পেলেন এ কথা জানিয়ে তিনি বলেন, গতকাল রাতে হাত বাঁধা অবস্থায় আমাকে এয়ারপোর্ট রোডে ফেলে রেখে যায়। আমাকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে বলে, পেছনে তাকাবি না। আমি একটা সিএনজি নিয়ে বাড়ির যাই। রাস্তায় সিএনজিওয়ালার মোবাইল দিয়ে বাবাকে ফোন দিই। বাবা সিএনজি ভাড়া দিয়ে দেন।
৭ নভেম্বর সকালে রামপুরার বাসা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে বের হন সিজার। পরে আর বাসায় ফেরেননি। এ ঘটনায় সিজারের বাবা মোতাহার হোসেন খিলগাঁও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
খবর৭১/জি: