মোঃ অালী হাসান, জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ
বাংলা পৌষ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই জয়পুরহাট জেলা সহ উত্তর অঞ্চলের সব জেলায় শীতের আমেজ দেখা দিয়েছে। ২১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার:- জয়পুরহাট জেলায় খুব
বেশী শীত না পড়লেও সারা দিন আকাশ থাকছে কুয়াশাছন্ম্য। চলছে সুর্যের লুকোচুরি খেলা। গত ৩/৪ দিন পর আজ জয়পুরহাটে সুর্যের আলো দেখা দিলেও তা ছিল ক্ষনিকের জন্য। জেলা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়-পৌষের শুরু থেকেই আকাশে মেঘ জমার কারনে জয়পুরহাট জেলা সহ উত্তর অঞ্চলের প্রায় সব কটি জেলাই থাকছে সারাদিন মেঘাছন্ন্য এবং সন্ধ্যার পর নেমে আসছে ঘন
কুয়াশা ও হালকা বাতাস। মূলতো এ কারনেই শীতের আমেজ বইছে এ জেলাগুলোতে
এদিকে শীতের প্রস্তুতি নিতে জয়পুরহাট জেলার নিন্ম থেকে উচ্চবিত্ত সব শ্রেনীর বাসিন্দাদের শীতের গরম কাপড় কিনতে উপচে পড়া ভীড় করতে দেখা যায় শহরের বিভিন্ন মার্কেট ও রেলওয়ে হর্কাস মার্কেটে। হর্কাস মার্কেট সূত্রে জানা যায়-এখানে সব শ্রেনীর মানুষের জন্য আছে গরম কাপড়।এ বছর ২০ টাকা থেকে
শুরু করে ২০০০ টাকা দামের শীতের সব রকম পোশাক পাওয়া যাচ্ছে এ মার্কেটে। এদিকে শহরের নিউ মার্কেট, আনন্দ মার্কেট, পূর্ব-
বাজার সহ সব বড় বড় কাপড়ের শোরুম গুলোতেও এবার ৫শ টাকা থেকে ৭ হাজার টাকা মূল্যের শীতের বিভিন্ম প্রকার ছেলে,মেয়ে ও বাচ্চাদের কাপড় বিক্রি হতে দেখা যায়।
সারারাত কুয়াশার কারনে রাস্তায় যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন্য ঘটায় জয়পুরহাট থেকে রাজধানী ঢাকার উদ্দ্যেশে ছেড়ে যাওয়া ও আসা এসআর,শ্যামলী,হানিফ পরিবহন সহ সবকটি গাড়ী যাতায়াতে প্রায় ৫-৬ ঘন্টা সময় বেশী লাগছে বলে জানান-শ্যামলী পরিবহন জয়পুরহাটের কাউন্টার ম্যানেজার গ্রীন কুমার। যার কারনে রাস্তায় বাড়ছে যানজট ও দূর্ঘটনা।
এদিকে হঠাৎ করে আবহাওয়ার এ পরিবর্তনের কারনে জয়পুরহাট জেলায় জ্বর,সর্দী,কাশি ও ঠান্ডাজনীত রুগী বিশেষ করে শিশুরুগীর সংখ্যা বেড়েছে বলে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানাযায়। তবে ঠান্ডাজনীত রোগের কারনে জেলায় কোন রুগীর মৃত্যুর খবর এখনো পাওয়া যায়নি।
খবর৭১/জি: