খবর ৭১: রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এ ভোট গ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচনে মেয়র পদে সাত প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মূল লড়াই হচ্ছে ত্রিমুখী। আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থীদের মধ্যে। সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জন্মস্থান রংপুর এক সময় জাতীয় পার্টির দুর্গ হিসেবে পরিচিত ছিল। রংপুরে জাতীয় পার্টির বিকল্প ছিল না। রংপুর অঞ্চলের লোকেরা এরশাদের অন্ধভক্ত। আশি’র দশক বা পরবর্তী সময়ে এরশাদের পার্টির বাইরে এখানে অন্য দলের কেউ বিজয়ী হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন না। অবশ্য এখন এরশাদ বা জাতীয় পার্টির সেই অবস্থা নেই। কিন্তু তারপরও এখনো জাতীয় পার্টির প্রভাবই উল্লেখযোগ্য। তাছাড়া দলীয় প্রার্থীদের জয়ী করতে এরশাদ গত কয়েক দিন ধরে রংপুর পড়ে আছেন।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিগত সময় এই সিটিতে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ভোটাররা মনে করছেন দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে তিনি এই অঞ্চলের ভোটারদের মন যোগাতে পারেননি। নগর উন্নয়নে ভোটারদের প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রাপ্তি ছিল কম। তারপরও আওয়ামী লীগের মতো দীর্ঘ সময় ধরে রাষ্ট্র পরিচালনাকারী ও ক্ষমতাসীন দলের যথেষ্ট ভোট রয়েছে। নেতাকর্মী ও ভোটাররা দলীয় প্রতীকে ঠিকই ভোট দেবেন। অন্যদিকে বিএনপি মনে করছে তাদের মনোনীত প্রার্থী নির্বাচিত হবেন। ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারলে ধানের শীষের প্রার্থী বিজয়ী হবে। বিএনপি দাবি করে বলছে, আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনকালে নানা অনিয়ম দুর্নীতির কারণে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তায় ধস নেমেছে। জাতীয় পার্টি বিরোধী দল হলেও সমঝোতার ভিত্তিতে সরকারের সঙ্গে দেশ পরিচালনায় অংশ নেয়ায় এই দলটির প্রতিও ক্ষুব্ধ জনগণ।