খবর ৭১:ক্রিকেটাররা কে কোন দলে খেলবেন, আগে তাদের দল বাছাইয়ের স্বাধীনতা ছিল। দর কষাকষির মাধ্যমে ক্রিকেটাররা পারিশ্রমিক বাড়িয়ে, পছন্দের দল বেছে নিতে পারতেন। কিন্তু ২০১৩ সালে ক্রিকেটারদের উন্মুক্ত দল-বদলের রেওয়াজ ভেঙে, প্লেয়ার বাই চয়েজ ফর্মুলার প্রবর্তন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকের লাগাম টেনে রাখতে এবারও সেই ফর্মুলাতেই হাঁটছে ক্রিকেট বোর্ড। এমনটি জানিয়ে বিসিরিব পরিচালক কাজী ইনাম আহমেদ বলেন, ‘আমরাও অনুভব করি, উন্মুক্ত দল-বদল হওয়া উচিত। তবে ক্লাবগুলো এটা চায় না, তারা প্লেয়ার বাই চয়েজেই আগ্রহী। ক্লাবগুলো একজোট হলে তো আমাদের কিছু করার নেই।’
উন্মুক্ত দল-বদলের রেওয়াজ থাকাকালে ক্রিকেটাররা নিজেদের পারিশ্রমিক বাড়িয়ে, পছন্দের দলে খেলতে পারতেন। সেই সুযোগ না দেয়ার কারণ কি? জানতে চাইলে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসের (সিসিডিএম) নতুন সভাপতি বলেন, ‘আমি নিজেও মানছি উন্মুক্ত দল-বদল থাকলেই ভালো হয়। তবে যে ক্রিকেটারের বাজার দর সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা, সে যদি উন্মুক্ত দল-বদলে ২০ লাখ টাকা দাবি করে বসে, তাহলে ক্লাবগুলো তার চাহিদা কীভাবে মেটাবে। এ কারণেই প্লেয়ার বাই চয়েজ রাখা হচ্ছে।’
প্লেয়ার বাই চয়েজে দল-বদল হলেও, ক্রিকেটারদের স্বার্থ যাতে ক্ষুণ্ন না হয়, সেই দিক বিবেচানা করা হবে।এমন আশ্বাস দিয়ে বিসিবির এই পরিচালক বলেন, ‘ক্রিকেটাররা যাতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তারা যেন ন্যায্য পারিশ্রমিক পায়, সেটা আমাদের মাথায় আছে। ক্যাটাগরি নির্ধারণের দায়িত্বটা নির্বাচকদের আর পারিশ্রমিক নির্ধারণ করবে বিসিবি এবং সিসিডিএম।’
আগামী জানুয়ারিতে মাঠে গড়াবে ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে জমজমাট আসর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ।
খবর৭১/ এস: