খবর ৭১:রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের যে অবজারভেশন তাতে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ অনুকূলে রয়েছে। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সার্বিক পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে।
বুধবার নির্বাচন কমিশন অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে জাতীয় পার্টির সন্তোষ প্রকাশের কথাও তুলে ধরেন।
একটি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করার কথা বললেও সম্পূর্ণভাবে নিরাপদ হলেই এটা ব্যবহার করা হবে বলে জানান কেএম নুরুল হুদা।
এ নির্বাচনের ১৯৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৪১ নম্বর কেন্দ্রে নিজেদের তৈরি ইভিএম ব্যবহার করে ভোটগ্রহণের জন্য মহড়া ও প্রচারও চালিয়েছিল ইসি। সব মিলিয়ে এর পেছনে ১০-১৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে বলে ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে কেএম নুরুল হুদা বলেন, “এটা টেকনিক্যাল বিষয়; কারিগরি টিম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। এখনও কনফার্ম করতে পারছি না, ইভিএম হবে কিনা। শতভাগ নিশ্চিত না হয়ে তো ব্যবহারে যেতে পারি না। নতুন ইভিএম তো, কাল সকালেই নিশ্চিত হওয়া যাবে।”
নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, “রংপুর সিটি নির্বাচনকে আমরা মডেল নির্বাচন করতে চাই। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিয়ে বাড়ি যেতে পারেন, সে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।”
আইন শৃংখলাবাহিনীর সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি সদস্য এ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাহী ও বিচারিক হাকিম ছাড়াও ইসির মনিটরিং টিম থাকবে নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও শাহাদাত হোসেন চৌধুরী ও ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
উল্লেখ্য, এই সিটির মেয়র পদের জন্য সাতজন, ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ২১১ জন এবং ১১টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ৬৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
রসিকে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৮৯৪ জন। তাদের মধ্যে ১ লাখ ৯৬ হাজার ২৫৬ জন পুরুষ এবং এক লাখ ৯৭ হাজার ৬৩৮ জন নারী।
এছাড়া ১৯৩টি ভোটকেন্দ্রের ১ হাজার ১৭৮টি ভোটকক্ষে মোট তিন হাজার ৫৫৯ জন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা এ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলবে।
খবর ৭১/ এস: