খবর৭১:জ্বরে রোগীরা কিছুই খেতে চায় না বা পারে না। শিশু ও বয়স্কদের এ সমস্যা বেশি হয় এবং রোগী ক্রমাগত দুর্বল হয়ে পড়ে ও নানাবিধ জটিলতা দেখা দেয়।
জ্বর হলে শরীরে ক্যালরির চাহিদা বাড়ে, ফলে বিপাক বেড়ে যায় ও রোগীর পুষ্টির দরকার হয়। রুচি কমে গেলে এমন খাবার বেছে নিন, যা অল্প খেলেও বেশি ক্যালরি পাওয়া যায়।
জ্বরে প্রচুর তরল পান করতে হয়, দিনে কমপক্ষে আড়াই লিটার। পানির পাশাপাশি লবণ ও খনিজ উপাদানসমৃদ্ধ তরল যেমন- ডাবের পানি, ওরস্যালাইন, লেবু-লবণের শরবত, ফলের রস পান করা উচিত। এর ফলে রক্তচাপ হ্রাসের ঝুঁকি কমবে, অতি মিষ্টি পানীয় খেলে বমির উদ্রেক হতে পারে।
তাই বাজারের কোমল পানীয় বা আইসক্রিম সহজে পিপাসা মেটায় না।
অরুচি বা বমি ভাবের জন্য তেল-মসলাযুক্ত খাবার, ফাস্টফুট ইত্যাদি না খাওয়াই ভালো।
খাবারের তালিকায় পর্যাপ্ত শর্করা যেমন ভাত, জাউভাত, ওটমিল ইত্যাদি রাখুন। প্রোটিন যেমন- দুধ, দই, মাছ বা মুরগির মাংস, স্যুপ রাখুন। জ্বরে আক্রান্ত রোগীর কিছু খেলেই বমি আসে, তারা হালকা শুকনো খাবার খাবেন। যেমন বিস্কুট, মুড়ি ইত্যাদি। আদা-চা, গ্রিন-টি বা শুকনো আদা বমি ভাব কমায়। এ সময় ফল বেশি করে খেতে হবে।
খবর ৭১/ ই: