খবর ৭১:তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম বলেছেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের গণহত্যা জাতিগত নিধনের শামিল।
এ নিপীড়ন বন্ধ করে রোহিঙ্গাদের নিরাপদে দেশে ফেরার ব্যবস্থা করতে জাতিসংঘের প্রতি তিনি আহ্বান জানিয়েছেন।
বুধবার কক্সবাজারের উখিয়ায় বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরত পাঠানো এবং নিরাপদে বসবাসের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্মিলিতভাবে কাজ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।’
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম বুধবার বেলা ১১টার পরে বিমানে কক্সবাজার পৌঁছান। সেখান থেকে তিনি গাড়িবহর নিয়ে ১১টা ৫৪ মিনিটের দিকে সরাসরি উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছান।
পরে তিনি তুরস্ক সরকারের অর্থায়নে নির্মিত ২টি ফিল্ড হাসপাতালের উদ্বোধন করেন।
সেখানে হাসপাতালের রোগীদের ব্যবহারের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে দুটি অত্যাধুনিক অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর করেন তুর্কি প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় সমবেত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন বিনালি ইলদিরিম। তার কাছে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ও উগ্রপন্থি রাখাইন সন্ত্রাসীদের নির্যাতনের কথা তুলে ধরেন।
তারা তুর্কি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, পূর্ণাঙ্গ নাগরিক অধিকার নিশ্চত হওয়ার পরেই তারা মিয়ানমারে ফিরতে চান।
জবাবে তিনি বলেন, সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে।
তুর্কি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপকালে আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন রোহিঙ্গারা।
পরে কুতুপালং ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেন তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী।
দুপুর দেড়টার দিকে তিনি বালুখালী ক্যাম্প ত্যাগ করে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হন।
এ সময় তুরস্কের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন তুরস্কের ডেপুটি উপ-প্রধানমন্ত্রী বেকির বোলজার, সমাজকল্যাণমন্ত্রী ফাতেমা বেতুল ছায়ান, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এইচ এম আবুল হাসান মাহমুদ আলীসহ উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে তুর্কি প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম দুদিনের সরকারি সফরে সোমবার রাতে ঢাকায় আসেন।
খবর ৭১/ ই: