ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে এক তরুণীকে (১৮) ধর্ষণের পর ব্লেড দিয়ে গোপনাঙ্গ সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে বর্বর নির্যাতন চালায় সোহাগ মিয়া (২৫) নামের এক বখাটে। ঘটনার চার দিন পর গত মঙ্গলবার রাতে সোহাগকে উপজেলার কুলিয়াচর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গতকাল বুধবার দূপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার রাজীবপুর ইউনিয়নের উজানচর নওপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী শামছু মিয়ার ছেলে কলেজ ছাত্র সোহাগ মিয়া একই গ্রামের এক তরুনীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু কোনো মতেই রাজী করাতে না পারায় বিভিন্ন সময় তাকে উত্ত্যক্ত করতো। এ অবস্থায় বেশ কয়েক মাস আগে তরুণীটি ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় চলে যায়। সেখান থেকে গত ১৫ ডিসেম্বর বাড়িতে আসে। এ অবস্থায় সোহাগ তরুনীটির গতিবিধি লক্ষ রাখে। এক পর্যায়ে গত শুক্রবার ভোর রাতে তরুনীটি প্রাকৃতিক কর্ম সারতে বাড়ির বাহিরে গেলে তাকে জোর পূর্বক ধরে পাশের একটি জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণের পর গোপনাঙ্গ সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্লেড দিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে চলে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় মামলা হলেও পুলিশ তাকে খোঁজে পাচ্ছিল না। ঘটনার চার দিন পর গত মঙ্গলবার রাতে সোহাগকে উপজেলার কুলিয়াচর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে গতকাল বুধবার দূপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি বদরুল আলম খান জানান, ঘটনার পর থেকে ধর্ষক সোহাগকে ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। এ অবস্থায় গোপন সংবাদের ভিক্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
খবর৭১/এস: