খবর৭১:ডিজিটাল বিশ্বকে নিরাপদ ও জনমুখী রাখতে জাতিসংঘের দ্বাদশ ইন্টারনেট গভর্নযান্স ফোরামে (আইজিএফ) বৈশ্বিক চুক্তির প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। গত সোমবার সন্ধ্যায় জেনেভার জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রের প্রধান হলে পাঁচ দিনের এ ফোরাম উদ্বোধন করা হয়।
এরপর ‘ভবিষ্যৎ ডিজিটাল বিশ্বের রূপরেখা’ শীর্ষক মূল আলোচনাসভার অন্যতম প্রধান আলোচকের বক্তৃতায় তিনি এ প্রস্তাব দেন।
বিশ্বের দেড় শতাধিক দেশের এক হাজার প্রতিনিধি এ ফোরামে অংশ নিচ্ছেন। তথ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নিরাপদ সাইবার স্পেস, জাতিসংঘের অধীনে ডিজিটাল অর্থনীতির কাঠামো, ইন্টারনেটকে মেৌলিক মানবাধিকারের ঘোষণা এবং জাতিসংঘের অধীনে ইন্টারনেটের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনা-এ চারটি চুক্তির প্রস্তাবের সঙ্গে উন্নয়নকামী দেশগুলোর মানুষের ইন্টারনেট প্রাপ্তি ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আরো সাতটি কর্মপরিকল্পনাও পেশ করেন তথ্যমন্ত্রী।
সাত কর্মপরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে ডিজিটাল সংযোগবঞ্চিতদের সংযোগের মধ্যে আনা, মাতৃভাষায় বিষয়বস্তু তৈরি, শিক্ষাপদ্ধতি সংস্কার, ডিজিটাল কাঠামো তৈরিতে আরো সরকারি উদ্যোগ, ই-ব্যবসায় আন্তর্দেশীয় বাধা দূর করা, টেকসই উন্নয়ন সহায়ক ডিজিটাইজেশন এবং সবার জন্য সুলভ নিরাপদ ইন্টারনেট। হাসানুল হক ইনু এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে দেশের অগ্রযাত্রার চিত্র তুলে ধরে বলেন, ‘১৬০ মিলিয়ন মানুষের মধ্যে এখন ১৩০ মিলিয়ন মোবাইল ও ৮০ মিলিয়ন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীসহ ২২ হাজারের বেশি মাধ্যমিক স্কুলে ডিজিটাল ল্যাব রয়েছে, মাধ্যমিক স্কুল থেকেই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধ্যয়ন বাধ্যতামূলক। ‘
গতকাল মঙ্গলবার সকালে দ্বাদশ আইজিএফের দ্বিতীয় দিনের প্রধান অধিবেশনে ‘রাজনীতি, নাগরিক আস্থা ও গণতন্ত্রের ওপর ডিজিটাইজেশনের প্রভাব’ বিষয়ে অন্যতম প্রধান বক্তার ভাষণ দেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
খবর৭১/জি: