খবর ৭১:
দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে নিখোঁজ থাকা সাংবাদিক উৎপল দাস উদ্ধারের পর জানান, তাকে চোখ বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং একটা জঙ্গলের মধ্যে টিনশেড ঘরে তাকে আটকে রাখা হয়।
অনলাইন নিউজ পোর্টাল পূর্বপশ্চিমডটকমের এ সাংবাদিক নিখোঁজ হওয়ার দুই মাস পর মঙ্গলবার রাতে তাকে নারায়ণগঞ্জের ভুলতা এলাকায় ফেলে রেখে যাওয়া হয় এবং খবর পেয়ে পুলিশ তাকে স্থানীয় ফাঁড়িতে নিয়ে যায় ।
পরে নরসিংদী থেকে তার পরিবারের সদস্যরা সেখানে পৌঁছলে উৎপল দাসকে তাদের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।
এই দুই মাসের বেশি সময় কোথায় ছিলেন তিনি? উত্তরে উৎপল দাস বলেন, আসলে কোথায় ছিলাম সেটি নিজেও জানি না। আমাকে চোখ বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
উৎপল জানান, ধানমণ্ডিতে একটি রেস্তোরাঁয় খাওয়া-দাওয়ার পর সেখান থেকে বের হলে একটি গাড়িতে করে তাকে তুলে নিয়ে যায় একদল লোক।
কোথায় রাখা হয়েছিল কিছু ধারণা করতে পারেন কিনা জানতে চাইলে উৎপল দাস বলেন, আমাকে নেয়া হয়েছিল ধানমণ্ডি থেকে। কিন্তু কোথায় নেয়া হয়েছিল, কীভাবে নেয়া হয়েছিল- এর বাইরে আমি কিছু জানি না। আমাকে চোখে বেঁধে গাড়ি করে নিয়ে যাওয়া হয়।
রাতে পুলিশ ফাঁড়িতে অবস্থানের সময় গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, জঙ্গলে একটা টিনশেড ঘরের মধ্যে আমাকে আটকে রাখা হয়। প্রথম দিকে মাঝে মাঝে বলে এত টাকা তোর আছে, তুই টাকা দে। টাকা দিলে তোকে ছেড়ে দেব। তার পর যেহেতু আমি টাকা দিতে পারি নাই, শেষ দিকে তারা এসে আমাকে বলেছে- তুই যেহেতু টাকা দিতে পারিস নাই মেরে ফেলব।
এর পর মঙ্গলবার তাকে নারায়ণগঞ্জের ভুলতায় নামিয়ে দেয়া হয়। সেই সময় তাকে কী বলা হয়েছিল?
উৎপল বলেন, আমাকে তারা বলল, তোর ফোনে চার্জ আছে তুই বাড়ি চলে যা- এই। আমাকে বলল যে, পেছন ফিরে তাকাবি না। আমি আর পেছনে ফিরে তাকাইনি। পরে ৫০ গজ পেছনে একটা পেট্রলপাম্প আছে, আমি সেই পেট্রলপাম্পে চলে যাই এবং গিয়ে বাড়িতে ফোন করি।