খবর ৭১:শীতে শুষ্ক ত্বকের ময়েশ্চারাইজার বজায় রাখা জরুরি। শুষ্ক ত্বক ময়েশ্চারাইজার ধরে রাখতে অলিভ অয়েল, লেবুর রস, ডিমের সাদা অংশ ভালো করে মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। শুকিয়ে গেলে ঈষদুষ্ণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এ মিশ্রণটি খুব ভালো প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। ভিটামিন ও ফ্যাটসমৃদ্ধ নারকেল তেলও শুষ্ক ত্বক নরম ও মসৃণ রাখে। নারকেল তেলের সঙ্গে কোকোয়া বাটার মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে পারেন। এই ময়েশ্চারাইজার ত্বকের ওপর প্রতিরক্ষামূলক প্রলেপ তৈরি করে ত্বকে আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ঠোঁট
শীতের সময়ে নিয়মিত আপনার ঠোঁটে নারকেল তেল লাগালে ঠোঁটের শুষ্কতা ও চামড়া ওঠার সমস্যা প্রতিরোধ করা যায়।ঠোঁট ও ত্বকের মাত্রাতিরিক্ত শুষ্কতা দূর করার জন্য গ্লিসারিন হতে পারে একটি ভালো প্রতিকার। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে চোখের চারপাশে ও ঠোঁটে গ্লিসারিন লাগান। যদি আপনি ঠোঁটের যত্নে লিপবাম ব্যবহার করেন তাহলে ভিটামিন-ই যুক্ত লিপবাম ব্যবহার করুন, কারণ এরা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভালো উৎস। শীতের সময়ে ঠোঁটের ত্বকের গঠন ঠিক রাখতে সাহায্য করে এ ধরনের লিপবাম। ত্বকের মতোই শুষ্ক ঠোঁটের ও এক্সফলিয়েট করা প্রয়োজন। মধুর সঙ্গে চিনি মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে শুষ্ক ও খসখসে ঠোঁটে ব্যবহার করুন। চিনি ঠোঁটের মরা চামড়া দূর করবে এবং মধু ঠোঁটকে পুষ্টি দেবে ও নরম হতে সাহায্য করবে।
তৈলাক্ত ত্বক ময়েশ্চারাইজার রাখতে
ঘরোয়া ময়েশ্চারাইজার হিসেবে তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীদের জন্য টমেটো খুব কার্যকর। এটা খোলা রোমকূপের সমস্যা প্রতিরোধ করে। গোলাপজলের সঙ্গে চন্দনের গুঁড়া মিশিয়ে বোতলে ভরে রেখে প্রতিদিন গোসলের পর ত্বকে ব্যবহার করলেও ত্বকে আর্দ্রতা বজায় থাকে। এ ছাড়া সপ্তাহে একদিন আনারস, আপেল, পাকা পেঁপের সঙ্গে মধু মিশ্রণের প্যাক ব্যবহার করুন। তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীরা ক্লিনজিং ও ময়েশ্চারাইজিংয়ের ক্ষেত্রে অয়েল ফ্রি প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন।
স্ট্রবেরি এবং দইয়ের ফেসিয়াল মাস্ক
শীতকালীন এই ফল স্ট্রবেরি খেতে যতটা সুস্বাদু ততোটাই উপকারী। স্ট্রবেরি প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের কোমলতার জন্য একটি অসাধারণ উপাদান। স্ট্রবেরির বাইরের অংশের ছোট ছোট বীজ খুব ভালো এক ধরনের স্ক্রাবার। অন্যদিকে দই ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সব সময়ের জন্যই উপকারী।
পদ্ধতি : এই মাস্কটি তৈরি করতে লাগবে ২/৩টি স্ট্রবেরি ও ২ চা চামচ দই। প্রথমে একটি বাটিতে ২/৩টি স্ট্রবেরি নিয়ে চামচের মাধ্যমে ম্যাশ করুন। এরপর এতে ২ চা চামচ দই নিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর মিশ্রণটি আলতো ঘষে ত্বকে লাগান। ১৫ থেকে ২০ মিনিট এই মিশ্রণটি ত্বকে থাকতে দিন। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে একটি পাতলা তোয়ালে দিয়ে পানি মুছে ফেলুন। এই মাস্কটি ত্বকের উজ্জ্বলতা ও কোমলতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ত্বকে একটি মিষ্টি সুগন্ধ তৈরি করে।
ওটমিল ও মধুর ফেসিয়াল মাস্ক
ওটমিল বর্তমানে সবাই আমরা চিনি। ওজন কমানোতে ওটমিলের জুড়ি নেই। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না ওটমিল ত্বকের জন্য কতটা উপকারী। ওটমিল একটি প্রাকৃতিক স্ক্রাবার। ওটমিলের সঙ্গে মধুর এই ফেসিয়াল মাস্কটি ত্বকের যত্নে অত্যন্ত কার্যকরী। ওটমিল ত্বকের উপরিভাগ স্ক্রাব করে উজ্জ্বল করে। আর মধুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বককে ব্রণের হাত থেকে রক্ষা করে ও কমনীয়তা বজায় রাখে।
পদ্ধতি : এই ফেসিয়াল মাস্কটির জন্য আপনার লাগবে ১ কাপ ওটমিল, ১ চা চামচ দই, ১টি ডিমের সাদা অংশ ও পরিমাণ মতো মধু। প্রথমে ব্লেন্ডারে ১ কাপ ওটমিল নিয়ে ব্লেন্ড করে মিহি গুঁড়া করে নিন। এরপর একটি পাত্রে মিহি গুঁড়া করা ওটমিল, ১ চা চামচ দই ও ১টি ডিমের সাদা অংশ নিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। এরপর এতে মধু মেশান। মিশ্রণটি পেস্টের মতো হলে মধু মেশানো বন্ধ করুন। এরপর এই পেস্টটি মুখে মাস্কের মতো লাগান। ১০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে আলতো ঘষে তুলে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে ২ বার করলে ত্বকের রুক্ষতা দূর করতে পারবেন।
খবর ৭১/ ই: