খবর৭১:গত বছরের শেষ দিকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল রিপাবলিকানদের পক্ষে নিতে ট্রাম্প শিবিরের সঙ্গে আঁতাত করেছিল রাশিয়া, এমনটাই অভিযোগ ওঠে।
বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছিলেন এফবিআই সাবেক প্রধান জেমস কোমি।
কিন্তু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কোমিকে বরখাস্ত করার পর তদন্ত পরিচালনায় বিশেষ কাউন্সেলরের দায়িত্ব পেয়েছেন সাবেক এফবিআই প্রধান রবার্ট মুলার।
কিন্তু তদন্তের কাজে গুরুত্বপূর্ণ এ মেইলগুলো কিভাবে গোয়েন্দাদের হাতে এলো তা নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠেছে। তদন্তের জন্য তা বেআইনিভাবে সংগ্রহ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন আইনজীবী।
মুলার অবৈধভাবে ইমেইলগুলো সংগ্রহ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষের এক আইনজীবী। কংগ্রেসের সিনেট ও হাউজ কমিটির কাছে শনিবার এক চিঠিতে আইনজীবী কোরি লাঙ্গফার এ অভিযোগ করেন।
কোরি লাঙ্গফার ট্রাম্প ফর আমেরিকা (টিএফএ) নামে পরিচিত ট্রানজিশন টিমের কাউন্সেলর। তিনি বলেন,রবার্ট মুলারের দল অন্যায়ভাবে সরকারি সংস্থা দ্য জেনারেল সার্ভিসেস অ্যাডমিন্সট্রেশনের (জিএসএ) কাছ থেকে অনেক ই-মেইল পেয়েছেন।
২০১৬ সালের নভেম্বরের নির্বাচনে জয়লাভের পর থেকে জানুয়ারিতে ট্রাম্পের অভিষেক হওয়ার আগ পর্যন্ত জিএসএর ই-মেইল চালাচালিসহ বিভিন্ন সুযোগ- সুবিধা কাজে লাগিয়েছে টিএফএ।
সরকারি সংস্থা জিএসএ’র সদস্যরাই স্পেশাল কাউন্সেলরের অফিসকে গোপন নথিপত্র দিয়ে আইনবহির্ভূত কাজ করেছে।
ওইসব নথিতে হাজারো ই-মেইল আছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করেন লাঙ্গফার।
প্রশ্ন ওঠা কোনো রেকর্ডের মালিকানা কিংবা নিয়ন্ত্রণ জিএসএ’র নেই। ফলে জিএসএ এমন কাজ করে টিএফএ কর্মকর্তাদের সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করেছে বলে লাঙ্গফার অভিযোগ করেন।
তবে মুলারের মুখপাত্র পিটার কার এ অভিযোগ অস্বীকার করে যথাযথ অপরাধ তদন্তপ্রক্রিয়া মেনেই সবকিছু করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন।
খবর৭১/জি: