খবর৭১: সারাদেশে প্রশ্ন ফাঁসে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জড়িত বলে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)। রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সঙ্গে দুদকের বৈঠক হয়।
বৈঠক শেষে দুদক কমিশনার ড. নাসির উদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন। এ সময় মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দুদক কমিশনার বলেন, ‘প্রত্যন্ত অঞ্চলের সব শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে গভর্নিং বডির কার্যক্রমসহ প্রতিটি সাধারণ কাজ অনলাইনভিত্তিক করার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রশ্নপত্র ফাঁস কিভাবে ঠেকানো যায় এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেয়া উচিত।’
দুদক মহাপরিচালক (বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, পুরো শিক্ষা ব্যবস্থার স্তরে স্তরে দুর্নীতি। এসব দুর্নীতি নির্মূলে দুদকের পক্ষ থেকে বৈঠকে ৩৯টি সুনির্দিষ্ট সুপারিশ উপস্থাপন করেন তিনি।
এ বিষয়ে মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ শিক্ষাখাতের দুর্নীতি নির্মূলে কাজ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। দুদকের এসব সুনির্দিষ্ট সুপারিশ দুর্নীতি নির্মূলে কাজে দেবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বুয়েটের একটিমাত্র কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তারপরও সেখানে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। আর আমাদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২১ হাজার কেন্দ্রে। তাই কতিপয় অসাধু শিক্ষকের সহযোগিতায় কিছু কিছু কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। তবে এসব কেন্দ্রেও যাতে প্রশ্ন ফাঁস না হয় সে জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ করছে।’
খবর৭১/জি: