খবর ৭১:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মিয়ানমারের নাগরিকদের স্বদেশে নিরাপদে ফিরে যাওয়ার বিষয়টি এখন আন্তর্জাতিকভাবে সবার প্রত্যাশার অংশ।
এজন্য বাংলাদেশ ও মিয়ানমার দুই পক্ষই প্রত্যাবাসন চুক্তি দ্রুত সম্পাদন এবং নভেম্বরের মধ্যে ‘জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ’ গঠনে সম্মত হয়েছে।
বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা এ কথা বলেন।
এ সময় মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর পরিচালিত হত্যাযজ্ঞসহ সব কর্মকাণ্ড পৃথিবীর জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডের অন্যতম বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, সম্প্রতি চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরকালে আমার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময়ে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সংলাপ ও আলোচনায় পক্ষপাতহীন সহযোগিতার আগ্রহ দেখিয়েছে চীন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারে পরিচালিত হত্যাযজ্ঞের পরিপ্রেক্ষিতে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত লাখো রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে মানবিক আশ্রয় দেয়ার ফলে আমাদের উদ্যোগ সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন ও তাদের অধিকারের পক্ষে বিশ্ব জনমত গঠিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, অসহনীয় নির্যাতন এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্ব জনমত গঠন ও মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য কূটনৈতিক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি জানান, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিজ দেশে নাগরিক হিসেবে বসবাসের অধিকার এবং নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক জনমত গঠনের জোর প্রচেষ্টা চালানোর ফলে রোহিঙ্গাদের অধিকারের পক্ষে আজ বিশ্ব জনমত গঠিত হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের বিষয়টি আজ সবার দাবি। নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকেও সব রাষ্ট্র কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের পক্ষে মত দিয়েছে এবং সুপারিশ বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণে মিয়ানমারকে আহ্বান জানিয়েছে।
খবর ৭১/ ই: