বান্দরবানে ২১ থেকে ২৩ ডিসেম্বর তিন দিনব্যাপি উৎসব

0
383

নুসিং থোয়াই মার্মা,(বান্দরবান প্রতিনিধি) :
বান্দরবানে বোমাং রাজা প্রধান কার্যালয়ে আজ বুধবার সংবাদ সন্মেলনে জানানো হয়, বান্দরবানের স্থানীয় রাজার মাঠে আগামী ২১ ডিসেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বর তিন দিনব্যাপি শুরু হচ্ছে উৎসব। নিরাপত্তা জনিত কারনে গত বছরের মতো এবারও মেলাকে ক্লোজ সার্কিট ক্যামরা (সিসি ক্যামরা) র আওতায় নিয়ে আসবে পুলিশ প্রশাসন।
উক্ত উৎসবে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুরসহ সরকারের একাধিক মন্ত্রী যোগ দেবার কথা রয়েছে। উৎসবকে ঘিরে জেলার ১১টি আদিবাসী সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য মন্ডিত মনোজ্ঞ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এ সময় পাহাড়ী-বা দেশি- বিদেশী পর্যটকরা ভীর জমায় পর্যটন শহর বান্দরবানে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রবীণ নেতা হিসাবে রাজার আর্শিবাদ পাওয়ার জন্য দুর্গম পাহাড়ী এলাকা থেকে পাহাড়ীরা রাজ দরবারে এসে ভীর জমান।
বান্দরবানের ইন্জিনিয়ার বোমাং রাজা উচপ্রু চৌধুরী আজকে সংবাদ সন্মেলনে সাংবাদিকদের কে জানান , চলতি বছরের রাজ পূন্যাহ আগামী ২১ ডিসেম্বর অনুষ্টিত হবে।
বোমাং রাজা সংবাদ সন্মেলনে’র আরো জানান, বৃটিশ শাসন আমলে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলাকে তিনটি সার্কেলে বিভক্ত করে খাজনা আদায় করা হতো। ১৮৬৬ সাল পর্যন্ত চাকমা রাজা পার্বত্য এলাকা শাসন করতো। ১৮৬৭ সালে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ অঞ্চলের মারমা অধ্যুষিত এলাকাকে বোমাং সার্কেল, ১৮৭০ সালে রামগড় ও মাইনি উপত্যকার এলাকাকে নিয়ে মং সার্কেল গঠিত হয়।
আরো জানা যায়, বর্তমানে রাঙ্গামাটিকে চাকমা সার্কেল, বান্দরবানকে বোমাং সার্কেল এবং খাগড়াছড়িকে মং সার্কেল হিসাবে গণ্য করা হয়। প্রায় ১৭৬৪ বর্গমাইল এলাকার বান্দরবানের ৯৫টি, রাঙামাটির রাজস্থলি ও কাপ্তাই উপজেলার ১৪টি মৌজা নিয়ে বান্দরবান বোমাং সার্কেল। দুইশত বছরের ঐতিহ্য অনুসারে বছরে একবার এই উৎসব আয়োজন করা হয় বোমাং সার্কেলের পক্ষ থেকে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here